সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একের পর এক প্রাণনাশের হুমকি পাচ্ছেন সলমন খান। লরেন্স বিষ্ণোইদের দল রীতিমতো পিছনে পড়ে গিয়েছে সলমন খানের। এই অবস্থায় কড়া নিরাপত্তার ঘেরাটপে রয়েছেন সলমন। গোটা বিষয়টা নিয়ে রীতিমতো দুশ্চিন্তায় ভাইজান। এমন অবস্থায় হঠাৎই কৃষ্ণসার হরিণ শিকারের কথা উঠে এল সলমন প্রাক্তন সোমি আলির মুখে। এক সংবাদমাধ্যমকে সোমি স্পষ্ট জানালেন, ''সলমনের সঙ্গে শিকারের দিন আমারও যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সলমন আমাকে বারণ করেছিল।''
সোমি সংবাদমাধ্যমকে আরও জানান, ''বিষ্ণোই সম্প্রদায় যে কৃষ্ণসার হরিণকে ঈশ্বর হিসেবে পুজো করেন, তা সত্যিই সলমন জানত না। তাই সলমনের ক্ষমা চাওয়া অনর্থক। ইগোর লড়াইয়ে জেতার জন্য কাউকে কোনওভাবে জোর করা যায় না। শিকারের দিন আমি সঙ্গে ছিলাম সলমনের। যদিও শিকারে আমাকে নিয়ে যেতে চাননি। কারণ, আমি কোনও বন্যপ্রাণীর পিছনে ছুটে বেরানোকে খেলা হিসেবে দেখি না। সেটা সলমনকে জানিয়ে ছিলাম। তবে সলমন আমাকে বলেছিল, বিষ্ণোইদের সম্পর্কে সে কিছুই জানে না।''
সোমি আরও বলেন, ''এখন আমার সঙ্গে সলমনের কোনও সম্পর্ক নেই। ওর পরিবারের লোকদের সঙ্গেও আমার কোনও যোগাযোগ নেই। আমি শুধু চাই, এই ধরনের প্রাণনাশের হুমকি বন্ধ হোক। হিংসা কখনও কিছু সমাধান করতে পারে না। ''
সালটা ১৯৯৮। সেই সময়ে রাজস্থানের কঙ্কানি গ্রামে ‘হাম সাথ সাথ হ্যায়’ সিনেমার শুটিং করতে গিয়ে বিতর্কে জড়ান সলমন খান। বলিউড সুপারস্টারের বিরুদ্ধে কৃষ্ণসার হরিণ হত্যার অভিযোগ ওঠে। দু দশক আগের সেই ঘটনার পর থেকেই বিষ্ণোই গ্যাংয়ের নিশানায় সলমন(Salman Khan)। একাধিকবার বলিউডের ভাইজানকে খুনের হুমকি দিয়ে খবরের শিরোনামে জায়গা করে নিয়েছে কুখ্যাত গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই। চলতি বছর থেকে সেই উপদ্রব আরও বেড়েছে বই কমেনি!
মাসখানেক আগে গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্টের বাইরে গুলি চালানো। বিদেশে সলমনের বন্ধ-গায়কের বাড়িতে হামলা, তার পর গত সপ্তাহে সলমন ঘনিষ্ঠ বাবা সিদ্দিকির খুন! একের পর এক ঘটনা ঘটিয়ে ভাইজানকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে বিষ্ণোই গ্যাং। যার জেরে ওয়াই ক্যাটাগরির পাশাপাশি সলমন খানের নিরাপত্তা বর্তমানে আরও জোরদার হয়েছে। দুবাই থেকে ২ কোটি টাকা খরচ করে বুলেট প্রুফ গাড়িও আনিয়েছেন ভাইজান। কিন্তু সারাজীবন কি এভাবে প্রাণভয় বয়ে বেড়াতে হবে তাঁকে? কী করলে বিষ্ণোইদের থেকে মুক্তি পাবেন সলমন খান? নিদান দিল রাজস্থানের সেই বিষ্ণোই সম্প্রদায়ই। যাঁরা কৃষ্ণসার হরিণকে দেবতাজ্ঞানে পুজো করেন।
বিষ্ণোইরা মনে করেন, কৃষ্ণসার হরিণ হত্যা করে গর্হিত অপরাধ করেছেন সলমন। যা কিনা বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের আচারবিধির বিরুদ্ধাচরণ। ‘অল ইন্ডিয়া বিষ্ণোই সমাজ’-এর সম্পাদক হনুমানরাম বিষ্ণোইয়ের নিদান, বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের থেকে ক্ষমা পেতে হলে সেই ব্যক্তিকে অবশ্যই রাজস্থানের বিকানিরে অবস্থিত মুক্তিধাম মুকামে যেতে হবে।