সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ৬০ কোটির আর্থিক কেলেঙ্কারি মামলায় শিল্পা শেট্টির বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছে ইডি। তারপরেই নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেছেন অভিনেত্রী। শিল্পার কথায়, ৬০ কোটির আর্থিক প্রতারণায় যেভাবে তাঁর নাম জড়ানো হচ্ছে সেটা অত্যন্ত দুঃখজনক। এই অভিযোগগুলি একজন মহিলার সম্মানহানি করে। জনসমক্ষে মহিলাদের সুনাম নষ্ট করে।
মঙ্গলবার বেঙ্গালুরুর বাস্তিয়ান ফ্র্যাঞ্চাইজির বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হওয়ার পর বুধবার সাতসকালে শিল্পা শেট্টির দাদরের রেস্তরাঁয় হানা দেয় আয়কর বিভাগের তদন্তকারীরা। সকালে বাস্তিয়ানের পর রাতবিরেতে শিল্পা শেট্টির মুম্বইয়ের বাসভবনে তল্লাশি অভিযান চালায় আয়কর বিভাগের আরেকটি তদন্তকারী দল। তারপরেই ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছেন বলি অভিনেত্রী। বলেছেন, সংস্থার কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা ছিল না তাঁর। অযৌক্তিকভাবে তাঁর নাম জড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে আর্থিক কেলেঙ্কারির সঙ্গে।
উল্লেখ্য, গত আগস্ট মাসেই শিল্পা শেট্টি ও তাঁর স্বামী রাজ কুন্দ্রার বিরুদ্ধে ৬০ কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগে এফআইআর দায়ের করেছিলেন মুম্বইয়ের জনৈক ব্যবসায়ী। এরপর গত সেপ্টেম্বর মাসে এই আর্থিক জালিয়াতি মামলায় তারকা দম্পতির বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিস জারি করে মুম্বই পুলিশ। ফলত, ইচ্ছে করলে যখন-তখন রাজ-শিল্পার দেশের বাইরে যাওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি হয়। অনুমতি সাপেক্ষেই বিদেশ ভ্রমণ করতে হবে তাঁদের। সেই লুক আউট নোটিসকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে পালটা বম্বে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন শিল্পা শেট্টি এবং রাজ কুন্দ্রা। কিন্তু তারকাদম্পতির আবেদন পত্রপাঠ নাকচ করে দেয় আদালত। বম্বে হাই কোর্টের তরফে তাঁদের সাফ জানানো হয় যে, “আগে ৬০ কোটি টাকা জমা দিন, তারপর লস অ্যাঞ্জেলস কিংবা বিদেশের যেখানে ইচ্ছে, সেখানে ঘুরতে যান।”
প্রসঙ্গত, শিল্পা ও রাজের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন লোটাস ক্যাপিটাল ফিন্যানসিয়াল সার্ভিসের ডিরেক্টর দীপক কোঠারি। তাঁর দাবি, ২০১৫ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে ওই সংস্থায় তিনি ৬০ কোটি ৪৮ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন। দীপকের অভিযোগ, ব্যবসায় বিনিয়োগের জন্য দেওয়া হলেও সেই টাকা ব্যক্তিগত প্রয়োজনে ব্যবহার করেছেন শিল্পা ও রাজ। আরও জানান, যখন তিনি ওই সংস্থায় বিনিয়োগ করেন, তখন ৮৭ শতাংশ শেয়ার শিল্পার নামে ছিল। দীপক জানিয়েছেন, তাঁর কাছে মোট ৭৫ কোটি টাকার ঋণ চাওয়া হয়েছিল। ১২ শতাংশ হারে সুদ পাওয়ার কথা ছিল তাঁর। করের বোঝা এড়াতে তিনি বিনিয়োগ হিসেবে ওই পরিমাণ টাকা সংস্থায় ঢালতে রাজি হয়েছিলেন। ঠিক হয়, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে টাকা ফিরিয়ে দেওয়া হবে তাঁকে।
