সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নতুন করে মুক্তি পেয়েছে 'শোলে'। ১২ ডিসেম্বর, শুক্রবার মুক্তি পেয়েছে এই ছবির ৪কে ভার্সন। চলতি বছরেই 'শোলে'র পঞ্চাশ বছর পূর্তি। সেই উপলক্ষে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক নানা চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত হয়েছে এই ছবি। ছবির 'জয়' আর 'বীরু'র সেই বন্ধুত্ব সকলের মনে আজও বন্ধুত্বের এক আলাদা সংজ্ঞা তৈরি করে। নভেম্বর মাসে প্রয়াত হয়েছেন পর্দার 'বীরু' অর্থাৎ কিংবদন্তি অভিনেতা ধর্মেন্দ্র।
শুধু তাই নয় তার কিছুদিন আগে না ফেরার দেশে পাড়ি দিয়েছেন আরও এক কিংবদন্তি অভিনেতা আসরানিও। শুধু তাই নয়, তার আগে আমরা হারিয়েছিলে আমজাদ খান ও সঞ্জীব কাপুরকেও। অর্থাৎ বলা যায় যে, ছবির হেভিওয়েট অভিনেতাদের একাংশই নেই। এদিন ছবি মুক্তির পর আবেগপ্রবণ হয়ে পরিচালক রমেশ সিপ্পি বুঁদ হন সকলের স্মৃতিচারণায়। পরিচালক বলেন, "খুব মিস করছি। ভীষণ মনে পড়ছে সকলকে। এই উদযাপন সকলের সঙ্গে করার ছিল। কিন্তু সেই সুযোগ আর আমাদের হল না। ধর্মেন্দ্রকে সবথেকে বেশি মনে পড়ছে। দর্শক আসবেন, ছবি দেখবেন, তাঁর কথা সকলের মনে পড়বে কিন্তু তাঁর কাছাকাছি আর আমরা যেতে পারব না।"
এর আগে চলতি বছরেই ছবির পঞ্চাশ বছর উদযাপন উপলক্ষে টরোন্টো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত হয়েছে ‘শোলে’। যদিও এর আগে এই ছবি ঘিরে এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই অত্যন্ত উচ্ছ্বসিত হয়েছিলেন পর্দার জয় ও বীরু। অমিতাভ বচ্চন বলেন, “সেই সময় বুঝতে পারিনি ভারতীয় সিনেমার এমন মোড় ঘোরানো ছবি এটি। শোলে যেন নাটকীয়ভাবে সবকিছু বদলে দিয়েছিল। আমার আশা ৫০ বছর পরেও গোটা বিশ্বে নতুন দর্শকদেরও মন পাবে শোলে।” ধর্মেন্দ্রও সমান উচ্ছ্বসিত। তিনি বলেন, “শোলে যেন বিশ্বের অষ্টম আশ্চর্য। আবার ছবিটি প্রদর্শিত হবে শুনেই আমি উত্তেজিত। কে ভুলবেন সেলিম-জাভেদের সেই সংলাপ কিংবা রমেশ সিপ্পির পরিচালনা? বেশিরভাগ দৃশ্য ভারতীয় সিনেমায় ইতিহাস তৈরি করেছিল। প্রতিটি চরিত্রই যেন হয়ে উঠেছিল সমান গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু আসল হিরো হল সেই কয়েনটি। ট্যাঙ্ক, মন্দিরের দৃশ্য আমার সবচেয়ে প্রিয়। এছাড়া আরও অনেক দৃশ্য রয়েছে।”
