সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: স্কুলে মজুত মিড ডে মিলের চাল এবং ডাল! এরপরেও পড়ুয়াদের দেওয়া হচ্ছে পাঁচ টাকার বিস্কুট। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র উত্তেজনা ছড়াল হাওড়া দাসনগরের বালটিকুরি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। প্রধান শিক্ষিকাকে ঘিরে এদিন বিক্ষোভে ফেটে পড়েন অভিভাবকরা। তাঁদের অভিযোগ, প্রত্যেকদিন পড়ুয়াদের মিড ডে মিল দেওয়া হয় না। চাল এবং ডাল মজুত থাকা সত্ত্বেও তা দেওয়া হচ্ছে না বলেও অভিযোগ। অন্যদিকে উত্তেজনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বিশাল পুলিশবাহিনী।
দাসনগরের বালটিকুরি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ুয়া সংখ্যা প্রায় ৪০০! শিক্ষক-শিক্ষিকা রয়েছেন ১৪ জন। অভিভাবকদের অভিযোগ, মিড ডে মিল রান্নার জন্য যেমন রাঁধুনি রয়েছেন, তেমনই অন্যান্য ব্যবস্থাও রয়েছে। কিন্তু প্রত্যেকদিন মিড ডে মিল দেওয়া হয় না। তাঁদের কথা অনুযায়ী, মাত্র দু'দিন রান্না করা খাবার দেওয়া হয়। সপ্তাহের বাকি চারদিন মাত্র ৫ টাকা দামের বিস্কুটের প্যাকেট দেওয়া হয় বলে দাবি অভিভাবকদের। কিন্তু কেন তা দেওয়া হচ্ছে না, সে বিষয়ে স্কুল কতৃপক্ষ কিছু জানায়নি বলেই দাবি। আজ শনিবার একইভাবে পাঁচটাকার বিস্কুট পড়ুয়াদের দেওয়া হলে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন অভিভাবকরা।
স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা অনামিকা রায়কে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। এমনকী তাঁকে আটকে রাখা হয় বলেও দাবি। পুলিশ পৌঁছে তাঁকে উদ্ধার করে বলে খবর। অন্যদিকে ঘটনা সম্পর্কে প্রধান শিক্ষিকা অনামিকা রায় বলেন, আগে পড়ুয়াদের কাঁচা চাল এবং অন্যান্য জিনিস পড়ুয়াদের দেওয়া হতো। সম্প্রতি অডিট হয়েছে স্কুলের চালের।'' শুধু তাই নয়, শিক্ষা দপ্তর অনুমতি দিলে ফের তা দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন স্কুলের ওই প্রধান শিক্ষিকা।
