সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ছবির প্রচারের সময় থেকেই তার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে গিয়েছে বিতর্ক। এস এস রাজামৌলীর (SS Rajamouli) পরিচালনায় বরাবরের মতোই 'লার্জার দ্যান লাইফ' ছবি হিসেবে দর্শকের দরবারে আসার অপেক্ষা ছিল। কিন্তু একের পর এক বিতর্ক যেভাবে এই ছবির সঙ্গে জুড়ছে তাতে রীতিমতো চর্চার শিখরে উঠে আসছে এই ছবি। পরিচালকের বিরূপ মন্তব্য ঘিরে এর আগে নানা জটিলতা তৈরি হয়েছিলই। এবার ছবির নাম ঘিরে শুরু হয়েছে নতুন বিতর্ক।
ইতিমধ্যেই রাজামৌলীর নতুন ছবির নাম পরিবর্তনের জন্য দাবি উঠেছে। জানা যাচ্ছে, 'রামা ব্রহ্মা হনুমা ক্রিয়েশন' নামের এক প্রযোজনা সংস্থা দাবি জানিয়েছে যে, এই 'বারাণসী' নামটি আইনত তাঁরাই শুধুমাত্র ব্যবহার করতে পারেন। যদিও এক্ষেত্রে 'বারাণসী' বানান একেবারেই আলাদা। রাজামৌলীর ছবির বানানের সঙে কোনও মিল নেই। এই সংস্থার তরফে সুব্বা রেড্ডি নামে জনৈক ব্যক্তি এর সমস্ত প্রামাণ্য নথিও প্রকাশ্যে এনেছে। দাবি তুলেছে এই নাম ব্যবহারের অধিকার শুধু তাঁদের সংস্থারই রয়েছে। অন্য কারও নয়। নথিতে দেখা যাচ্ছে যে এই প্রযোজনা সংস্থার ওই নাম ২০২৩ সালে তেলুগু ফিল্ম প্রোডিউসার্স কাউন্সিল অনুমোদন দিয়েছে। পরবর্তীতে তা ২০২৫ সালের জুন মাসে নবীকরণ করেছে, যার মেয়াদ ২০২৬ সালের ২৩ জুলাই পর্যন্ত থাকবে। এরপর বানানের পার্থক্য থাকলেও একই নাম হওয়ার দরুণ তা রাজামৌলী আগামী ছবিতে ব্যবহার করতে পারবেন কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন জেগেছে সকলের মনে। ছবির প্রচার ইতিমধ্যেই শুরু করেছেন মহেশবাবু, প্রিয়ঙ্কা চোপড়া-সহ গোটা টিমের সঙ্গে রাজামৌলী। এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে ছবির নাম আদৌ পরিবর্তন করা যাবে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। নাকি দুই প্রযোজনা সংস্থা এই সমস্যার সমাধানে বসে এখন সেটাই দেখার।
উল্লেখ্য, এর আগে বারবার বিতর্কে বিদ্ধ হয়েছে রাজামৌলীর নতুন ছবি। আর তার জন্য একমাত্র দায়ী ছবির প্রচারে গিয়ে করা তাঁর নানা উক্তি। বিতর্কের সূত্রপাত ‘বারাণসী’র ট্রেলার মুক্তিতেই। এই ছবিতে রয়েছেন মহেশ বাবু, প্রিয়াঙ্কা চোপড়া এবং পৃথ্বীরাজ সুকুমারন-সহ অনেকেই। মহেশ বাবুকে দেখা যাবে রুদ্র রূপে। পর্দায় কুম্ভের ভূমিকায় দেখা যাবে পৃথ্বীরাজকে। আর প্রিয়াঙ্কা চোপড়া মন্দাকিনী। হায়দরাবাদের রামোজি ফিল্ম সিটির ওই অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ সংযোগের সমস্যায় ট্রেলার মুক্তিতে সাময়িক জটিলতা তৈরি হয়। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে রাজামৌলি বলেন, “আমার ভগবানের প্রতি তেমন বিশ্বাস নেই। আমার বাবা বলতেন হনুমানজি আমাদের রক্ষা করেন। প্রযুক্তিগত সমস্যা দেখা দেওয়ার পর আমার হনুমানজির কাছে জিজ্ঞাস্য তিনি আমাকে কীভাবে রক্ষা করবেন?” রাজামৌলির দাবি, “বাবার মতো স্ত্রী-ও হনুমানজিকে বিশ্বাস করেন। ও তো আবার হনুমানজিকে বন্ধু মনে করে। তাঁর সঙ্গে কথা বলে। এসব দেখলে আমার রাগ হয়।”
