বিপ্লবচন্দ্র দত্ত, কৃষ্ণনগর: রবিবার বাড়ি ফেরার কথা ছিল। আগের রাতেই ঘটে গিয়েছে দুর্ঘটনা। সহকর্মীর গুলিতে জখম হয়েছেন কলকাতা জাদুঘরে কর্মরত সিআইএসএফের (CISF) অ্যাসিস্ট্যান্ট কমান্ডার সুবীর ঘোষ। কতদিনে সুস্থ হবেন ওই অ্যাসিস্ট্যান্ট কমান্ডার, সেই অপেক্ষায় পরিবার।
জাদুঘরে গুলিবিদ্ধ সুবীর ঘোষের বাড়ি নদিয়া জেলার চাকদহ থানার আলাইপুর গ্রামে। বাড়িতে রয়েছেন তাঁর ভাই এবং ভাইয়ের পরিবারের সদস্যরা। সুবীরবাবুর এক ছেলে বর্তমানে বেঙ্গালুরুতে কর্মরত। খেলাধুলায় ছোটবেলায় থেকেই ভাল ছিলেন সুবীর। আশির দশকে সিআইএসএফ অর্থাৎ সেন্ট্রাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিকিউরিটি ফোর্সে চাকরি পেয়েছেন তিনি। কাজের জন্য আলাইপুর গ্রামের বাড়িতে না থেকে স্ত্রী এবং পরিবারকে নিয়ে বর্তমানে কলকাতায় সিআইএসএফ কমপ্লেক্সে থাকেন সুবীর। মাঝেমধ্যেই ঘুরতে যান পৈতৃক বাড়িতে। রবিবারও সস্ত্রীক গ্রামের বাড়িতে যাওয়ার কথা ছিল। অথচ তার আগেরদিনই ঘটে গেল মর্মান্তিক ঘটনা। জাদুঘরে ডিউটি করতে গিয়়ে গুলিবিদ্ধ হলেন সুবীর।
[আরও পড়ুন: ‘মঞ্চে উঠতে যোগ্যতা লাগে!’, অনুষ্ঠান মঞ্চে নেতা-কর্মীদের ভিড় দেখে মেজাজ হারালেন মন্ত্রী মলয় ঘটক]
সুবীর ঘোষের ভাই সরোজকুমার ঘোষ বউদির থেকে খবর পেয়ে শনিবার রাতেই কলকাতায় ছুটে এসেছেন। তিনি বলেন, “কলকাতা থেকে পরিবার নিয়ে রবিবারই নদিয়ার বাড়িতে আসার কথা ছিল দাদার। কিন্তু ঠিক তার আগেরদিন সন্ধেয় কলকাতায় এই ঘটনা। কী কারণে, কী হল, তা আমাদের কাছে এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট নয়।” জানা গিয়েছে, সুবীরবাবুর চাকরির বয়স আর খুব বেশিদিন নেই। অবসর গ্রহণের আগেই এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই ভেঙে পড়েছেন পরিবারের সদস্যরা।
প্রসঙ্গত, শনিবার সন্ধে প্রায় সাড়ে ৬টা নাগাদ আচমকাই ভারতীয় জাদুঘরের (Indian Museum)পাশে সিআইএসএফ ব্যারাক থেকে গুলির শব্দ শোনা যায়। সঙ্গে সঙ্গে ছুটে যান বাকি জওয়ানরা। দেখা যায়, রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন বেশ কয়েকজন। আহতদের উদ্ধার করে এসএসকেএম (SSKM) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। মৃত্যু হয় সিআইএসএফের এএসআই রঞ্জিত ষড়ঙ্গির। আহত হন সুবীর ঘোষ।