বাবুল হক, মালদহ: আবাস যোজনা নিয়ে অসন্তোষের সাক্ষী এবার মালদহ। মাণিকচকের দক্ষিণ চণ্ডীপুর এলাকায় আবাস যোজনার তালিকায় এক তৃণমূল নেতার পরিবারের ১২ জনের নাম রয়েছে বলেই অভিযোগ। তারই প্রতিবাদ করেন সিটু নেতা। 'শাস্তি' হিসাবে ওই সিটু নেতাকে এলোপাথাড়ি মারধর করে ধারালো অস্ত্রের কোপ দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। আর ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সিপিএম-তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা অশান্তিতে জড়িয়ে পড়েন। দুপক্ষের সংঘর্ষে পুড়ল একাধিক মোটরবাইক। সংঘর্ষের ছবি সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল। যদিও তার সত্যতা যাচাই করেনি সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল।
আক্রান্ত সিটু নেতা দানেশ আলির দাবি, তৃণমূল নেতা আবির আলি তাঁর নিজের নাম-সহ পরিবারের ১২জন সদস্যের নাম আবাস যোজনার তালিকায় রয়েছে। সপ্তাহদুয়েক আগে তা নজরে আসে সিটু নেতার। প্রতিবাদ জানিয়ে মাণিকচক ব্লক এবং জেলাশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। অভিযোগ, সেই আক্রোশেই রবিবার সকালে দানেশ আলিকে তৃণমূল নেতার নেতৃত্বে ১০-১৫ জন হামলা চালায়। ছুরি, হাঁসুয়া দিয়ে এলোপাথাড়ি সিটু নেতাকে কোপানো হয় বলেও অভিযোগ। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করা হয়। মালদহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই এখনও চিকিৎসাধীন সিটু নেতা।
আক্রান্ত সিটু নেতা
এই ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই সিপিএম এবং তৃণমূল সমর্থকরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। দুপক্ষের মধ্যে প্রথমে বচসা বাঁধে। পরে একে অপরকে লক্ষ্য করে ইট, পাটকেল ছুড়তে শুরু করে। শুরু হয় হাতাহাতি। এই ঘটনায় দুপক্ষের একাধিক বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। পুড়িয়ে দেওয়া হয় একাধিক মোটরবাইকও। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় মাণিকচক থানার বিশাল পুলিশবাহিনী। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে নতুন করে এই ঘটনায় হতাহতের খবর নেই। সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল সংঘর্ষের ছবি। যদিও সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল এই ছবির সত্যতা যাচাই করেনি। মাণিকচক থানার পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমেছে। যদিও এখনও অধরা অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা আবির আলি।