সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ক্রমেই আগ্নেয়গিরি হয়ে উঠছে মণিপুর। ‘অল আউট অ্যাকশন’ মোডে কেন্দ্র। এই পরিস্থিতিতে এনডিএ বিধায়কদের বৈঠক ডাকলেন মুখ্যমন্ত্রী বিরেন সিং। সেই বৈঠকে কোনও কারণ না দেখিয়েই গরহাজির এনপিপির ১১ বিধায়ক। জানা যাচ্ছে, উত্তরপূর্বের রাজ্যটির বিজেপি সরকার থেকে সমর্থন তুলে নিয়েছে ন্যাশনাল পিপলস পার্টি। ফলে সব মিলিয়ে বেকায়দায় বিরেন সিং। এদিকে পরিস্থিতি সামাল দিতে ২৪ ঘণ্টা আল্টিমেটাম দিল মেতেই নাগরিক সমাজ।
মেতেই নাগরিক সমাজের সম্মিলিত এক সংগঠনের তরফে দাবি তোলা হয়েছে, কুকি জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে কড়া পদক্ষেপ করতে হবে বিরেন সরকারকে। পাশাপাশি এনডিএ বিধায়কদের বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্তগুলিও খারিজ করে দিয়েছে সংগঠনগুলি। তারা চায়, ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই পরিস্থিতি সামাল দিক সরকার।
উল্লেখ্য, গত ৭ নভেম্বর থেকে নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে মণিপুর। বিশেষ করে এখানকার জিরিবাম জেলা। এখনও পর্যন্ত ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে এখানে। পরিস্থিতি সামাল দিতে গত ১৪ নভেম্বর নতুন করে লাগু হয়েছে আফস্পা। বন্ধ করা হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা। এখানে ২০ কোম্পানি আধাসেনা আগেই মোতায়েন করেছিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক এবার আরও ৫০ কোম্পানি আধাসেনা অর্থাৎ ৫ হাজার সিআরপিএফ মোতায়েন করা হল এই রাজ্যে। সব মিলিয়ে বর্তমানে মণিপুরে আধাসেনার দাঁড়িয়েছে পরিমাণ প্রায় এক লক্ষ।
সূত্রের খবর, কেন্দ্রের তরফে আধাসেনাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে অল আউট অভিযানে নামার। যে সব বিদ্রোহীরা এখানে সক্রিয় তাঁদের প্রত্যেককে আটক করার এমনকি প্রয়োজনে নিকেশ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সশস্ত্র বিদ্রোহীদের কাছে কী কী অস্ত্র রয়েছে, তাদের ঠিকানা কোথায় সে সব তথ্য জানতে গোয়েন্দা বিভাগের থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। এদিকে এই পরিস্থিতিতে মণিপুর সংলগ্ন সীমানা বন্ধ রেখেছে অসম।
গত সপ্তাহে সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি তৈরি হয় মণিপুরে। জিরিবাম জেলায় হামলা চালায় কুকি জঙ্গিরা। সেই ঘটনায় নিরাপত্তাবাহিনীর গুলিতে ১০ জঙ্গির মৃত্যু হলেও ৬ গ্রামবাসীকে অপহরণ করে কুকিরা। গত শনিবার তাঁদের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। এই ঘটনার পর থেকে নতুন করে রণক্ষেত্র হয়ে উঠেছে মণিপুর।