মাসুদ আহমেদ, শ্রীনগর: জম্মু ও কাশ্মীরে (Jammu and Kashmir) জঙ্গি ও নিরাপত্তা বাহিনীর গুলির লড়াইয়ের মাঝে মৃত্যু হল এক সাধারণ নাগরিকের। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে সোপিয়ানে। কাশ্মীর পুলিশের তরফে একথা জানানো হয়েছে।
ঠিক কী হয়েছিল? রবিবার সোপিয়ানের তুর্কওয়াঙ্গামে সিআরপিএফের এক টহলদার বাহিনীর উপরে অকস্মাৎ গুলি চালাতে শুরু করে জঙ্গিরা। পালটা জবাব দেয় সেনাও। শুরু হয় গুলির লড়াই। সেই সময়ই এক সাধারণ নাগরিক গুলিবিদ্ধ হন। মৃত ব্যক্তিকে ইতিমধ্যেই শনাক্ত করা গিয়েছে। তাঁর নাম শোয়েব আহ গনি। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাঁকে পুলওয়ামার জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। এদিকে হামলাকারী জঙ্গিরা ঘটনাস্থল ছেড়ে পালালেও এলাকা ঘিরে ফেলা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার বাংলা টেলিভিশনের অভিনেত্রীর ঝুলন্ত দেহ, গড়ফায় চাঞ্চল্য]
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে সংঘর্ষে খতম হয় লস্কর-ই-তইবার দুই সন্ত্রাসবাদী। বান্দিপোরা জেলার আরাগাম এলাকায় সেনাবাহিনী, আধাসেনা ও কাশ্মীর পুলিশের একটি যৌথবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষ হয় জঙ্গিদের। ওই এলাকায় জঙ্গিদের একটি ডেরার সন্ধান পেয়েছিলেন নিরাপত্তারক্ষীরা। তারপরই দ্রুত ছকে ফেলা হয় অভিযানের পরিকল্পনা। দ্রুত এলাকাটি ঘিরে ফেলে সেনাবাহিনী, আধাসেনা ও পুলিশের একটি যৌথবাহিনী। এরপরই গুলি চালাতে শুরু করে সন্ত্রাসবাদীরা। ওই সংঘর্ষে লস্করের দুই জঙ্গি নিহত হয়। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয় একে-৪৭ রাইফেল-সহ প্রচুর হাতিয়ার।
বৃহস্পতিবার কাশ্মীরের বদগাঁওতে সরকারি অফিসে ঢুকে এক কাশ্মীরি পণ্ডিতকে গুলি করে খুন করে জঙ্গিরা। বদগাওয়ের চাদুরা গ্রামের তহসিলদার অফিসে রাহুল ভাট নামের ওই ব্যক্তিকে খুন করা হয়। তারপরই পুলওয়ামাতেও এক জঙ্গির গুলিতে প্রাণ হারান এক পুলিশকর্মী। কাশ্মীরি পণ্ডিতের (Kashmiri Pandit) খুনের কাণ্ডে রীতিমতো উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে উপত্যকা। তার মধ্যেই এদিনের ঘটনায় আরও চাঞ্চল্য ছড়াল।
[আরও পড়ুন: মূল্যবৃদ্ধির জের, উজ্জ্বলা যোজনায় রান্নার গ্যাস ভরতে পারেননি ৯০ লক্ষ গ্রাহকই]
এদিকে কাশ্মীর-সহ গোটা ভারতে জঙ্গি হামলা চালাতে নয়া ছক কষছে পাকিস্তানের (Pakistan) গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই (ISI)। খলিস্তানি ও কাশ্মিরী জঙ্গিদের নিয়ে একটা নতুন গোষ্ঠী তৈরি করছে তারা। এমনটাই জানা গিয়েছে সম্প্রতি। নতুন এই জঙ্গি গোষ্ঠীর নাম দেওয়া হয়েছে লস্কর-ই-খালসা।