সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আফগানিস্তানে (Afghanistan) দ্বিতীয়বার সরকার গঠনের প্রস্তুতি নিচ্ছে তালিবান। তবে সমগ্র আফগানিস্তান তালিবানের (Taliban) দখলে এলেও পঞ্জশির এখনও হাতছাড়া। পঞ্জশির তালিবানের জন্য হয়ে উঠেছে দুর্গম ঘাঁটি। তা দখল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে তালিবরা। আত্মসমপর্ণ না করলে আগামী কয়েক ঘণ্টার মধ্যে হামলার হুঁশিয়ারও দিয়েছে তাঁরা। ইতিমধ্যে ওই প্রদেশে হামলা চালাতে আরও তালিবান জঙ্গি পঞ্জশিরে পৌঁছেও গিয়েছে। তবে তৈরি নর্দার্ন অ্যালায়েন্সও। ইতিমধ্যে সাধারণ মানুষরাও কিন্তু সেই দল যোগ দিতে শুরু করেছে।
আর এই পরিস্থিতিতেই বাগলান প্রদেশে বড়সড় ধাক্কা খেল তালিবান জঙ্গিগোষ্ঠী। দাবি করা হচ্ছে, বাগলানে নর্দান অ্যালায়েন্সের হামলায় প্রায় ৩০০ জন তালিবান নিহত হয়েছে। এছাড়া আরও কয়েকজনকে বন্দিও করা হয়েছে। ইয়ালদা হাকিম নামে এক সাংবাদিক টুইট করে বাগলানের আন্দরাবে ৩০০ তালিবানের মৃত্যুর খবর জানিয়েছেন। টুইটে তাঁর দাবি , অতর্কিত হামলা সামলাতে পারেনি তালিবানরা। তালিবান বিরোধী যোদ্ধারা ৩০০ জন তালিবান সদস্যকে নিকেশ করেছে।
[আরও পড়ুন: Afghanistan Crisis: পঞ্জশির দখলে নতুন উদ্যমে আরও ‘যোদ্ধা’ পাঠাচ্ছে তালিবান]
আফগানিস্তানের ভাইস প্রেসিডেন্ট আমরুল্লাহ সালেহও এই হামলার দিকে ইঙ্গিত করেছেন। একটি ট্যুইটের মাধ্যমে তালিবানদের নিয়ে কটাক্ষ করে বলা হয়েছে, ‘পঞ্জশিরে হামলা করতে উদ্যত হয়েছিল তালিবানরা। কিন্তু নর্দান অ্যালায়েন্সের পালটা মারে তারা পিছু হটতে বাধ্য হয়েছে। অনেকেই জীবিত অবস্থায় ফিরতে পারেনি। হামলা করতে গিয়ে নিজেরাই হত হয়েছে।’
এদিকে, ফের অশান্ত কাবুল বিমানবন্দর চত্বর৷ সোমবার সকালে বিমাবন্দরের উত্তর গেটে আচমকা ঢুকে পড়ে এক বন্দুকবাজ৷ বিমানবন্দরে ঢুকেই এলোপাথাড়ি গুলি ছুড়তে শুরু করে ওই বন্দুকবাজ৷ এতে এক আফগান সেনা মারা গিয়েছেন। পালটা গুলিতে বন্দুকবাজের মৃত্যু হয়েছে৷ এরই পাশাপাশি আরও তিনজন জখম হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে৷ আহতদের মধ্যে আমেরিকা ও জার্মান সেনাবাহিনীর সদস্যরা রয়েছেন৷ জার্মান সামরিক বাহিনীর তরফে টুইটারে জানানো হয়েছে, নিহত বন্দুকবাজ বিমানবন্দরে পাহারার জন্য মোতায়েন তালিবান যোদ্ধাদের মধ্যে একজন কিনা তা এখনও নিশ্চিত করা যায়নি৷
[আরও পড়ুন: Afghanistan Crisis: রাশিয়ায় আশ্রয় নয় আফগানি জঙ্গিদের, জানিয়ে দিলেন পুতিন]
গত কয়েকদিনের মতো সোমবার সকালেও কাবুল বিমানবন্দরে হাজার-হাজার মানুষের উপচে পড়া ভিড় রয়েছে৷ আফগানিস্তান ছেড়ে পালাতে চাইছেন প্রত্যেকে৷ বিদেশিদের পাশাপাশি সেই ভিড়ে সামিল হাজার-হাজার আফগান৷ তালিবানি নৃশংসতার আতঙ্কে এক বস্ত্রেই দেশ ছাড়তে মরিয়া আফগানরা৷ চূড়ান্ত বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি কাবুল বিমানবন্দরে৷ বিমানবন্দরে মোতায়েন রয়েছে কয়েক হাজার মার্কিন সেনা৷ এছাড়াও জার্মান সেনাবাহিনীর সদস্যরাও কাবুল বিমানবন্দরে মোতায়েন রয়েছে৷ তার মধ্যেই ঘটল এই হামলার ঘটনা।