সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সমলিঙ্গ বিবাহ (Same-Gender Marriages) ভারতের সামাজিক নৈতিকতার পরিপন্থী। সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) হলফনামা দিয়ে আগেই জানিয়েছিল কেন্দ্র। বৃহস্পতিবার সমলিঙ্গ বিবাহের বৈধতা সংক্রান্ত মামলায় প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় প্রশ্ন তুললেন, কেন বিয়ের জন্য একজন পুরুষ ও একজন মহিলাই অপরিহার্য। তিনি বলেন, সমকামিতার সম্পর্ক সম্পর্ক কেবল শারীরিক নয়, তা মানসিক সম্পর্কও। তৈরি করে স্থায়ী সম্পর্ক।
ঠিক কী বলেছেন তিনি? প্রধান বিচারপতির কথায়, ”বিয়ের প্রচলিত ধারণাকে নতুন করে সংজ্ঞায়িত করা দরকার। কেননা কোনও বিয়ের জন্য পুরুষ ও মহিলাই কি দরকার?” প্রধান বিচারপতি মনে করিয়ে দেন, ১৯৫৪ সালের বিশেষ বিবাহ আইন লাগু হওয়ার পর গত ৬৯ বছরে অনেক পরিবর্তন এসেছে। সেই সঙ্গে তিনি বলেন, ”যখন কোনও বিষমকামী দম্পতি গার্হস্থ্য সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে তখন তাঁদের সন্তানদের মধ্যে কী প্রভাব পড়ে? যখন বাবা এসে মাকে মদ খেয়ে মারে আর মদের পয়সা চায়?”
[আরও পড়ুন: ঢাল আইনি মারপ্যাঁচ, মমতার বিরুদ্ধে অমিত শাহকে ‘ফোন’ করার প্রমাণ নিয়ে ঢোঁক গিললেন শুভেন্দু!]
উল্লেখ্য, সমলিঙ্গ বিবাহের বৈধতা সংক্রান্ত মামলা চলছে প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি এস কে কাউল, বিচারপতি এস রবীন্দ্র ভাট, বিচারপতি হিমা কোহলি এবং বিচারপতি পি এস নরসিমার বেঞ্চে। বৃহস্পতিবার ছিল শুনানির তৃতীয় দিন। প্রাথমিকভাবে মামলার গ্রহণযোগ্যতা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছিল কেন্দ্র। আগেই কেন্দ্রের সেই আপত্তি খারিজ করে দিয়েছে বিচারপতিদের বেঞ্চ।