সংবাদ প্রতিদিন ডিডিটাল ডেস্ক: দেশের গণতন্ত্র নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন সুপ্রিম কোর্টের চার বিচারপতি। অভিযোগ তুলেছিলেন, সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির পক্ষপাতিত্ব নিয়ে। একপ্রকার বিদ্রোহই করেছিলেন তাঁরা। সেই চার বিচারপতির মধ্যে থেকেই এবার নিজের উত্তরসূরী বাছলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্র।
মেয়াদ শেষ হয়ে এসেছে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির। এবার পরবর্তী বিচারপতি নির্বাচনের সময় দোরগোড়ায়। এক্ষেত্রে বর্তমান প্রধান বিচারপতির মতামত ও সুপারিশ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অবসরের আগে তিনি তাঁর সুপারিশের কথা জানান সরকারকে। এবারও তার অন্যথা হয়নি। প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্র জানিয়েছেন, তাঁর পরবর্তীকালে তিনি তাঁর কুরসিতে বিচারপতি রঞ্জন গগৈকে দেখতে চান।
[ কুতুব মিনারকে ছাড়িয়ে যাবে ময়লার ঢিপি! চিন্তার ভাঁজ পরিবেশবিদদের কপালে ]
প্রধান বিচারপতির এই ঘোষণার পর হতবাক অনেকেই। কারণ প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে যাঁরা বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিলেন, সেই দলের পুরভাগে ছিলেন গগৈও। ১২ জানুয়ারি প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলেন দেশের প্রবীণ চার বিচারপতি। শীর্ষ আদালতের চার বিচারপতি হলেন জে চেলামেশ্বর, কুরিয়েন জোশেফ, রঞ্জন গগৈ এবং মদন লোকুর। দেশের বিচারব্যবস্থায় দুর্নীতি এবং নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে তাঁরা সরব হন। বিচারপতি চেলামেশ্বর বলেন, বিচারব্যবস্থা নিরপেক্ষ না হলে গণতন্ত্র বাঁচবে না। এই মুহূর্তে দেশের গণতন্ত্র বিপন্ন। বিচারের নামে চলছে বেনিয়ম। মামলা বণ্টনের ক্ষেত্রে পক্ষপাতিত্ব হচ্ছে। আদালতে মধ্যেই নিয়ামানুবর্তিতা মেনে চলছেন না প্রধান বিচারপতি। গত কয়েক মাস ধরেইএমন অবাঞ্ছিত ঘটনা চলছে। চার বিচারপতি একবাক্যে জানান, এই নিয়ে বারবার বলার পরও কোনও কিছু কানে নেন না প্রধান বিচারপতি। কীভাবে দেশের শীর্ষ আদালতে মামলা বণ্টনের ক্ষেত্রে পক্ষপাতিত্ব চলছে তাও প্রকাশ্যে আনেন তাঁরা। বিচারপতি চেলামেশ্বরের সংযোজন, পছন্দের বিচারপতিদের গুরুত্বপূর্ণ মামলা দেওয়া হচ্ছে। তাই দেশের বিচার ব্যবস্থাকে রক্ষা করা জরুরি।
এমন ঘটনার পরও দীপক মিশ্র কীভাবে তাঁর উত্তরসূরি হিসেবে রঞ্জন গগৈকে বাছলেন, তা নিয়ে অনেকেই উপযুক্ত উত্তর খুঁজে পাচ্ছেন না।যদিও, অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে এবার দেশের প্রধান বিচারপতির পদে বসার কথা ছিল বিচারপতি গগৈ-এরই। বিচারপতি গগৈ ২০০১ সালে দিল্লি হাই কোর্টে ছিলেন। ২০১১ সালে তিনি পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি নিযুক্ত হন। ২০১২ সালের এপ্রিলে তিনি সুপ্রিম কোর্টে যোগ দেন। শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি হওয়া তাঁর জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়ের সূচনা। ২ অক্টোবর প্রধান বিচারপতির পদে শপথ নেবেন রঞ্জন গগৈ। পরের বছর ১৭ নভেম্বর তিনি অবসর নেবেন।
[ উন্নয়ন খাতে খরচের নিরিখে এগিয়ে তৃণমূল সাংসদরাই, অনেক পিছিয়ে বিজেপি ]
The post ‘বিদ্রোহী’-দের মধ্যে থেকেই পরবর্তী প্রধান বিচারপতি বাছলেন দীপক মিশ্র appeared first on Sangbad Pratidin.