সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নেটভুবনে ট্রোলিংয়ের যে ফাঁদ পাতা, তাতে কে যে কখন ধরা পড়বে তা বোঝা দুষ্কর। আমজনতা তো বটেই, ছাড় নেই খোদ প্রধান বিচারপতিরও! ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় নিজেই জানালেন তাঁর অভিজ্ঞতার কথা। মাত্র চার-পাঁচ দিন আগেই কীভাবে একটি ভিডিও ঘিরে ট্রোলিংয়ের মুখে পড়তে হয়েছিল সেকথা বলতে গিয়ে চন্দ্রচূড়ের মন্তব্য, ”আমি ভয়াবহ অপব্যবহারের শিকার ছিলাম। ট্রোলিং শুরু হয়ে যায়, বেরিয়ে পড়ে ছোরাছুরি…”
শনিবার এক অনুষ্ঠানে যোগ দেন তিনি। সেখানেই এই অভিজ্ঞতার কথা বলতে গিয়ে চন্দ্রচূড় (DY Chandrachud) বলেন, ”মাত্র চার-পাঁচ দিন আগের কথা। আমি একটি মামলা শুনছিলাম। আমার পিঠে অল্প ব্যথা হচ্ছিল। আর তাই আমি আমার চেয়ারে কনুই রেখে নিজের অবস্থানটা বদলে ছিলাম।” আর এই অংশটুকুর ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে নেট ভুবনে। প্রশ্ন ওঠে, শুনানি চলাকালীনই কী করে একজন বিচারপতি সেখান থেকে চলে যেতে পারেন।
[আরও পড়ুন: পুলিশ ভ্যানে ইন্দিরা! জনতা সরকারের ‘ঐতিহাসিক ভুলে’ রাজনৈতিক পুনর্জন্ম প্রিয়দর্শিনীর]
আর একথা বলতে গিয়ে প্রধান বিচারপতি বলেন, ”কিন্তু যে কথাটা ওরা কেউ বলেনি, যে আমি আমার অবস্থানটা বদলে ছিলাম মাত্র। ২৪ বছর ধরে বিচার করে যাওয়াটা একটু বেশিই শ্রমসাধ্য ব্যাপার। আমি আদালত ছেড়ে যাইনি। চেয়ারে নিজের অবস্থানটুকু বদলে ছিলাম মাত্র। কিন্তু আমাকে ট্রোলিংয়ের মুখে পড়তে হল। ছোরাছুরি বেরিয়ে পড়ল! কিন্তু আমার বিশ্বাস, আমাদের কাঁধ যথেষ্ট মজবুত। এবং যে কাজই আমরা করি না সাধারণ নাগরিকদের মতো, তা যথেষ্ট আত্মবিশ্বাস নিয়েই করি।”
স্ট্রেস সামলে কাজের জগতের ব্যালান্স বজায় রাখা প্রসঙ্গেই এদিন বক্তব্য রাখেন প্রধান বিচারপতি। তাঁকে বলতে শোনা যায়, ”আমরা প্রায়ই চিকিৎক ও শল্য চিকিৎসকদের বলি, নিজেদের সুস্থ রাখুন। অর্থাৎ অন্যকে সুস্থ রাখার আগে আপনাকে নিজেদের সুস্থ রাখাটা শিখতে হবে। এটা বিচারপতিদের জন্যও একই রকম সত্যি।”