অর্ণব দাস, বারাকপুর: বিজেপির (BJP) স্মারকলিপি জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার কাণ্ড নৈহাটি পুরসভা চত্বরে। তৃণমূলের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়াল বিজেপির নেতা-কর্মীরা। গুরুতর জখম বহু কর্মী। তাঁদের মধ্যে ১২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দীর্ঘক্ষণের চেষ্টায় আয়ত্তে আনে পরিস্থিতি।
ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে শুক্রবার মিছিল করে নৈহাটি পুরসভায় ডেপুটেশন দিতে যায় বিজেপির নেতা-কর্মীরা। তখন পুরসভায় বহু তৃণমূল কর্মী উপস্থিত ছিলেন। অভিযোগ, প্রথমে পুরসভা চত্বরে স্লোগান তোলে দুই দল। এতেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। এরপরই দুই দলের মধ্যে হাতাহাতি বেঁধে যায়। ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। জখম হন দু’দলেরই বেশ কয়েকজন। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়।
[আরও পড়ুন: রেল ব্রিজ রক্ষণাবেক্ষণের কাজ, সপ্তাহান্তে শিয়ালদহ মেন শাখায় বাতিল বেশ কিছু লোকাল]
এই ঘটনায় শাসক দলের দিকে আঙুল তুলেছেন বিজেপির রাজ্য সম্পাদিকা ফাল্গুনী পাত্র। তিনি বলেন, “যখন আমাদের মিছিল পুরসভায় পৌঁছয় তখন তৃণমূল কর্মীরা ওখানে বিশাল জমায়েত করেছিল। পরিকল্পনামাফিক তাঁরা আমাদের উপর হামলা চালিয়েছে। বহু বিজেপি কর্মী আহত হয়েছে। তাঁদের মধ্যে প্রায় ১২ জন গুরুতর জখম হয়েছেন। পুলিশও নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছে।”
যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে পালটা বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে শাসক দল। এবিষয়ে নৈহাটি শহর তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি তথা পুরসভার চেয়ারম্যান-ইন-কাউন্সিল সনৎ দে বলেন, “কোনও অনুমতি ছাড়াই এদিন বিজেপি পুরসভায় ডেপুটেশন দিতে এসেছিল। তবুও চেয়ারম্যান তাঁদের দাবি শোনেন এবং ডেপুটেশন জমা নেন। আমাদের দলের এক মহিলাকর্মীর সোনার কানের দুল ছিনিয়ে নেয় বিজেপির মিছিল থেকে। এই নিয়ে আমাদের কর্মীরা প্রতিবাদ করলে করে। তখন উলটে আমাদের কর্মীদেরই মারধর করলে চারজন গুরুতর জখম হন।”