অর্ক দে, বর্ধমান: প্রতিষ্ঠা দিবসে গোষ্ঠীকোন্দলে উত্তাল বর্ধমান (Bardhaman)। জেলা কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ বিক্ষুব্ধ বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের। আদি বিজেপির বিক্ষোভের পালটা সরব হয়েছে নব্যরা। সবমিলিয়ে বৃহস্পতিবার উত্তপ্ত হয় বর্ধমানের ঘোড়চটি এলাকা। যদিও নব্য বিজেপির দাবি, তৃণমূলের ইন্ধনে এই ঘটনা ঘটিয়েছে দল থেকে বহিষ্কৃত নেতারা। পালটা আদি বিজেপির দাবি, বর্তমান জেলা সভাপতি ও যুব সভাপতি দুর্নীতিতে যুক্ত। তাঁদের বিরুদ্ধে এই প্রতিবাদ।
বৃহস্পতিবার বিজেপির স্থাপনা দিবস বা প্রতিষ্ঠা দিবস। সেই উপলক্ষে দিল্লির সদরদপ্তর থেকে দলীয় কর্মীদের বার্তা দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পতাকা উত্তোলন করেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা। রাজ্য দপ্তরে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ভারচুয়ালি শোনানো হয়। জেলায়-জেলায় কর্মসূচি নিয়েছিল বিজেপি। সেরকম অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়েছিল বর্ধমানের জেলা সদর দপ্তরে।
[আরও পড়ুন: খলিস্তানি তাণ্ডবের পর এবার হিন্দু মন্দির ভাংচুর কানাডায়, লেখা হল ভারত বিরোধী স্লোগান]
অভিযোগ, এদিন সকালে বহিষ্কৃত নেতা শ্যামল রায়ের নেতৃত্ব একদল কর্মী-সমর্থ বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয় দলীয় কার্যালয়েপ গেটে। পালটা সেই তালা ভেঙে ঢোকেন বর্থমান নেতা-কর্মীরা। দু’পক্ষের মধ্য়ে প্রথমে বচসা পরে হাতহাতি বেঁধে যায়। উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ঘোড়চটি এলাকা।
বিক্ষোভকারী তথা বিজেপির প্রাক্তন নেতা শ্যামল রায় জানান, জেলা সভাপতি ও জেলার যুব সভাপতি দুর্নীতিগ্রস্ত। তাঁদের পরিবারের চাকরি দেওয়া নিয়ে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। তাঁরা দলকে না জানিয়ে একাধিক কাজ করে। নানা কেলেঙ্কারির সঙ্গে যুক্ত। এদের নেতা থাকার অধিকার নেই। পালটা জেলার যুব মোর্চার সভাপতি পিন্টু শ্যাম জানান, “শ্যামল রায়ের ইন্ধনে এটা হয়েছে। এরা বিজেপির কর্মী হলে এই ঘটনা ঘটাতে পারত না। মনে হচ্ছে এর পিছনে তৃণমূলের ইন্ধন রয়েছে।”