সুব্রত বিশ্বাস: রেলের জায়গা দখলকে কেন্দ্র করে দোলের দিন বসিরহাট স্টেশন এলাকা রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়। বসতিবাসীদের মারে পাঁচ আরপিএফ কর্মী গুরুতরভাবে জখম হয়েছেন। এক এসআই ও এক কনস্টেবলের মাথায় গুরুতর চোট লাগায় তাঁদের বসিরহাট সদর হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে।
শিয়ালদহের সিনিয়র সিকিউরিটি কমিশনার এ ইব্রাহিম শরীফ জানান, ঘটনার সময় আরপিএফের কোনও ভূমিকা ছিল না। অতর্কিতে একদল যুবক আরপিএফ বারাকের কাছে এক কনস্টেবলের উপর লাঠি, বাঁশ, রিভলবার নিয়ে চড়াও হয়। তাঁকে অন্য আরপিএফ কর্মীরা বাঁচাতে এলে তাঁরাও আক্রান্ত হন। চার রাউন্ড গুলি চালায় বসতিবাসীরা। গুলি না লাগলেও মারধরে আহত হন পাঁচজন। তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
[আরও পড়ুন: বাংলাদেশ থেকে বাঙালি হিন্দুদের উৎখাত নিয়ে ছবি নয় কেন? ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ দেখে প্রশ্ন তসলিমার]
এই ঘটনার পর রাতে সিনিয়র কমান্ড্যান্ট-সহ আধিকারিকরা বসিরহাট যান। তাঁদের ঘিরে বসতিবাসী মহিলারা আরপিএফের (RPF) অত্যাচারের অভিযোগ তোলেন। বলেন, ঘরের টালি বদল করলেও আরপিএফ টাকা দাবি করে। নানা কারণে তাঁদের ক্ষোভ বাড়ছিল। ঘটনার আগে রেলের জমিতে কাঠামো তৈরি করায় বাধা দেয় আরপিএফ। দোলের দিন একদল যুবক রং মেখে বারাকের সামনে আরপিএফের উপর চড়াও হয়। তাঁকে বাঁচাতে অন্য আরপিএফের কর্মীরা এলে তাঁদের উপরও হামলা করা হয়। এসআই বিনয় রায় ও কনস্টেবল রাম প্রতাপ প্যাটেলের মাথায় আঘাত লাগায় হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে।
আহত বিকাশ কুমার যাদব ও এমকে জাহাঙ্গিরকে প্রাথমিক চিকিৎসা করে ছেড়ে দেওয়া হয়। এই ঘটনায় বসিরহাট থানায় এফআইআর দায়ের করেছে আরপিএফ। গ্রেপ্তারের খবর না থাকলেও পুলিশ জানিয়েছে, তদন্ত চলছে। এদিকে শিয়ালদহ লাইন ধারের বসতি নিয়ে রেল একাধিক অভিযোগ তুলেছে। বসতির জন্য ট্রেনের গতি বাড়ানো হচ্ছে না, প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে বলে অভিযোগ।