সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সেনা বনাম পুলিশের লড়াইয়ের জেরে অশান্ত পাকিস্তান! সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে সিন্ধ প্রদেশের পুলিশ প্রধানকে অপহরণের অভিযোগ উঠেছে। নওয়াজ শরিফের জামাইকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিতে বাধ্য করতেই তাঁকে অপহরণ করা হয় বলে খবর। এদিকে পুলিশ প্রধানের অপমানের বদলা নিতে করাচিতে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ বেঁধে যায়। সেই সংঘর্ষে ১০ জন পুলিশ কর্মীর প্রাণও গিয়েছে বলে দাবি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এই ঘটনার দ্রুত তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান কামার জাভেদ বাজওয়া।
বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এবং পাক প্রশাসনের ব্যর্থতার বিরুদ্ধে মাঠে নেমেছে পাকিস্তানের বিরোধীদলগুলি। তাঁরা একটি মিছিলও করেন। এরপরই মহম্মদ আলি জিন্নাহকে অপমানের অভিযোগে নওয়াজ শরিফের জামাই এবং পাকিস্তান মুসলিম লিগের নেতা মহম্মদ সফদরকে গ্রেপ্তার করে ইমরান প্রশাসন। রীতিমতো হোটেলের দরজা ভেঙে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে অভিযোগ। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম মারফত খবর, সিন্ধ পুলিশের আইজি মুস্তাক মেহরকে অপহরণ করে চাপ দিয়ে সফদরের গ্রেপ্তারি নির্দেশে সই করিয়ে নেয় পাকিস্তানের আধাসেনা রেঞ্জার্সরা। পরে জামিন পেয়ে যান নওয়াজ শরিফের জামাই।
[আরও পড়ুন : আফগানিস্তানের পাক দূতাবাসে ভিসার জন্য হুড়োহুড়ি, পদপিষ্ট হয়ে মৃত কমপক্ষে ১৫]
এদিকে সিন্ধ পুলিশের প্রধানের এহেন অপমানে বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ সঞ্চার হয়। তাঁরা গণছুটির আবেদন জানাতে থাকেন। এই ঘটনায় পুলিশ বাহিনীকে অপমান এবং অপদস্থ করা হয়েছে বলেও সিন্ধ পুলিশের পক্ষে টুইটও করা হয়৷।এরপরই করাচিতে অশান্তি ছড়ায় বলে খবর।
টুইটারে সেই অশান্তির ছবিও ছড়িয়ে পড়ে। সোশ্যাল মিডিয়া সূত্রে খবর, করাচিতে সিন্ধ প্রদেশের পুলিশ এবং পাকিস্তানি সেনার মধ্যে গুলি বিনিময়ের ঘটনায় দশ জন পুলিশ অফিসারের মৃত্যু হয়েছে। আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে শহরের বিভিন্ন প্রান্তে। যদিও সরকারিভাবে এই ঘটনা সম্পর্কে কিছু জানানো হয়নি। তবে বুধবার ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান কামার জাভেদ বাজওয়া।
[আরও পড়ুন : সর্বনাশা বন্যায় বিপর্যস্ত ভিয়েতনাম, ক্রমশই বাড়ছে মৃতের সংখ্যা]
তবে করাচির পরিস্থিতি যে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে, তা নিয়ে সন্দেহ নেই। জাতীয় স্বার্থে আপাতত দশ দিনের জন্য নিজের ছুটির আবেদন পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সিন্ধ পুলিশের আইজি মুস্তাক মেহর৷ নিজের অধস্তন অফিসারদেরও একই অনুরোধ করেছেন তিনি। পাকিস্তানে গৃহযুদ্ধের আশঙ্কা করছেন অনেকেই।