অরিজিৎ গুপ্ত, হাওড়া: নির্বাচন যতই এগিয়ে আসছে, ততই চড়ছে উত্তাপ। রাজনৈতিক অশান্তিও লেগেই রয়েছে। এই আবহে তৃণমূল ও বিজেপি সংঘর্ষে উত্তপ্ত হাওড়ার বাঁকড়ায়। বিজেপির মণ্ডল সভাপতিকে লাথি মেরে দোতলা থেকে নীচে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ। পালটা প্রতিরোধ করতে গিয়ে তৃণমূল-বিজেপি দু’পক্ষই সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এই ঘটনায় জখম হন চারজন। তাঁদের স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে।
ঠিক কী ঘটেছিল? বিজেপির অভিযোগ, শুক্রবার রাতে বাঁকড়ার পশ্চিমপাড়ায় এলাকায় ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ চলছিল। সেখানেই ছিলেন বাঁকড়ার বিজেপি মণ্ডল সভাপতি শেখ নিজামুদ্দিন। অভিযোগ, সেই সময় বেশ কয়েকজন তৃণমূল কর্মী ওই দোতলা বাড়িটিতে যায়। বিজেপি মণ্ডল সভাপতি-সহ অন্যান্য কর্মীদের বেধড়ক মারধর করা হয়। বিজেপি মণ্ডল সভাপতিকে দোতলা বাড়ির ছাদ থেকে লাথি মারতে মারতে নীচে নিয়ে আসা হয় বলেও অভিযোগ। গুরুতর চোট পান শেখ নিজামুদ্দিন। পালটা প্রতিরোধ গড়তে গেলে তৃণমূল-বিজেপি হাতাহাতিও হয়। এই ঘটনায় গেরুয়া শিবিরের চারজন জখম হয়েছেন বলেই দাবি। তাঁদের মধ্যে বিজেপি মণ্ডল সভাপতির চোট সবচেয়ে গুরুতর। তিনি বর্তমানে হাওড়া জেলা হাসপাতালে ভরতি।
[আরও পড়ুন: পাহাড়ে ফেরার পরিকল্পনা বিমল গুরুংয়ের, পরিস্থিতি বুঝতে আজই শিলিগুড়ি যাচ্ছেন রোশন গিরি]
এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন হাওড়া সদরের বিজেপি সভাপতি সুরজিৎ সাহা। তিনি বলেন, “বাংলায় গণতন্ত্র বলে কিছু নেই। সে কারণেই পুলিশও হামলার পর কোনও ব্যবস্থা নেয়নি।” যদিও মারধরের অভিযোগ নস্যাৎ করেছে তৃণমূল। তাঁদের দাবি, অশান্তি তৈরির চেষ্টায় বহিরাগতদের এলাকায় জড়ো করেছিল বিজেপি। তারই প্রতিবাদ করে স্থানীয়রা মারধর করেছে। এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই বলেই জানান তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য শেখ আবদুল সালাম। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। যদিও এই ঘটনায় এখনও গ্রেপ্তার হয়নি কেউ।