সম্যক খান, মেদিনীপুর: পড়াশোনা ভালো লাগে না। পছন্দ বন্ধুদের সঙ্গে দিনভর ফুটবল খেলা। বিরক্ত হয়েই ছেলেকে পিসির বাড়িতে পাঠিয়েছিলেন বাবা-মা। অপহরণের গল্প ফেঁদে সেখান থেকে পালাল কিশোর। ঘটনাকে কেন্দ্র করে শোরগোল পশ্চিম মেদিনীপুরের (Paschim Medinipur) শালবনীতে।
পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনির গড়মালের বাসিন্দা রাজেশ সিং। পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র সে। দিনভর ফুটবলেই মজে থাকত ওই ছাত্র। স্বাভাবিকভাবেই বাবা-মা বিষয়টা নিয়ে চিন্তায় পড়েন। ছাত্রের পড়াশোনায় যাতে উন্নতি হয় সেজন্য মাসকয়েক আগে ঝাড়গ্রামের বড়শুকজোড়ায় তার পিসির কাছে ছেলেকে রেখে আসেন তাঁরা। সবকিছুই ঠিকঠাক চলছিল। দিনকয়েক আগে গ্রামের শীতলাপুজো উপলক্ষ্যে ছেলে বাড়িতে নিয়ে আসেন তাঁরা। শনিবারই তাকে ফের ঝাড়গ্রামে রেখে আসে। রবিবার আচমকা গুড়গুড়িপালের রাস্তায় রাজেশকে ইতস্তত ঘোরাফেরা করতে দেখেন স্থানীয়রা। স্বাভাবিকভাবেই তাঁদের সন্দেহ হয়। কিশোরের কাছে জানতে চাওয়া হলে সে জানায়, শনিবার বিকেলে দুজন তাকে অপহরণ করে। কংসাবতী নদীর কাছে গাড়ি থামালে কোনওরকমে তাদের চোখে ধুলে দিয়ে সে চলে এসেছে। তৎক্ষনাৎ গুড়গুড়িপাল থানায় খবর দেয় স্থানীয়রা।
[আরও পড়ুন: আচমকা ‘বেঁচে’ উঠল মৃত কিশোর! কাটোয়া হাসপাতালে ধুন্ধুমার]
পুলিশকেও ওই ছাত্র অপহরণের কথা জানায়। পুলিশ ওই কিশোরের বাড়িতে খবর দেওয়ার পাশাপাশি কংসাবতী নদীর আশেপাশেও তল্লাশি শুরু করে। পরবর্তীতে ওই ছাত্রের মা ছবি সিং থানায় যেতেই প্রকাশ্যে আসে গোটা ঘটনা। ছেলেটি স্বীকার করে যে সে মনগড়া ওই গল্প শুনিয়েছে। তখনই সে জানায়, পড়াশোনা তার ভালো লাগে না। পিসির বাড়িতে থেকেও ফুটবল খেলার কোনও সুযোগ নেই। তাই সে এদিন সকালেই পায়ে হেঁটে বাড়ির পথে রওনা দিয়েছে। অগত্যা সবকিছু জানার পর পুলিশ অফিসাররা ছাত্রটিকে পরিবারের হাতে তুলে দেন। তবে যুবকের কীর্তিতে হতবাক পরিবারের সদস্যরা।