shono
Advertisement

Breaking News

সেলফি তোলা মানসিক অসুখ, দেশে সমীক্ষা চালিয়ে মত গবেষকদের

কটা সেলফি তুললে ক্রনিক? কটাতে বা অ্যাকিউট? The post সেলফি তোলা মানসিক অসুখ, দেশে সমীক্ষা চালিয়ে মত গবেষকদের appeared first on Sangbad Pratidin.
Posted: 05:45 PM Dec 18, 2017Updated: 04:49 PM Sep 18, 2019

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কানাঘুষো অনেকেই বলতেন। কিন্তু আর এ নিয়ে কোনও ধন্ধ নেই। সেলফি তোলা আসলে এক ধরনের মানসিক অসুখই। এবং তা নিরাময়ের জন্য সঠিক চিকিৎসা দরকার। সম্প্রতি দেশে সমীক্ষা চালিয়ে এ কথাই জানালেন দেশের একদল গবেষক।

Advertisement

[ স্কুলের অনুষ্ঠানে বাবার গানে নাচ আব্রামের, ভাইরাল ভিডিও ]

রাস্তাঘাটে হোক কিংবা একা একা, যে কোনও মুহূর্তে সেলফি মাস্ট। বন্ধুদের আড্ডা হোক বা বিয়েবাড়ি, সেলফি না তুললে যেন তা অসম্পূর্ণ। বর্তমান সময়ে এটিকে অত্যন্ত স্বাভাবিক ঘটনা হিসেবেই ধরা হয়। কিন্তু আসলে তা নয়। একধরনের অবসেসিভ ডিসঅর্ডারের জেরেই এই সেলফি রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। এবং তা এমন পর্যায়ে পৌঁছাচ্ছে যে, বিপজ্জনক সেলফি তোলা থেকেও বিরত হচ্ছে না মানুষ। তাতে প্রাণও যাচ্ছে, তবু হুঁশ ফেরে না। এবার এই সেলফি তোলার প্রবণতাকে অসুস্থতা হিসেবেই চিহ্নিত করলেন বিজ্ঞানীরা।

সেলফি তুলে বিপাকে, দেশ ছাড়তে বাধ্য হলেন সেরা সুন্দরী ]

বেশ কিছুদিন আগে এই ধরনের একটি খবর সামনে এসেছিল। সেখানে জানানো হয়েছিল, মার্কিন মুলুকের গবেষকরা সেলফি তোলাকে মানসিক ব্যাধি বলে চিহ্নিত করেছেন। পরে অবশ্য জানা যায়, সে খবর ভুয়ো। গবেষকরা তবু বিষয়টির উপর নজর রাখা ছাড়েননি। যা রটে তা কিছু তো বটে। তাঁরা তাই খতিয়ে দেখেন পুরো বিষয়টি। জানা যায়, খবরটি ভুয়ো হলেও, সেলফি তোলা যে একরকমের রোগ তা অনস্বীকার্য। নটিংহাম ট্রেন্ট ইউনিভার্সিটি এবং তামিলনাড়ুর থিয়াগারাজার স্কুল অফ ম্যানেজমেন্টের গবেষকরা যৌথভাবে এ বিষয়ে গবেষণা শুরু করেন। স্থান হিসেবে বেছে নেওযা হয় ভারতকেই। কারণ এ দেশেই ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা সবথেকে বেশি। তাছাড়া সেলফি তুলতে গিয়ে মৃত্যুর নিরিখেও ভারত এগিয়ে। ফলে এখানকার নির্বাচিত জনগণদের উপর সমীক্ষা চালিয়েই মানসিক অসুখের হদিশ পেতে চেয়েছিলেন বিজ্ঞানীরা। এবং তাঁরা তো পেয়েওছেন। রোগটির নাম, তাঁদের মতে সেলফাইটিস। এবং তার বেশ কয়েকটি ধাপও আছে।

মহাভারতে কৃষ্ণ হতে চান আমির, নয়া ফ্র্যাঞ্চাইজি নিয়ে কাজ শুরু ]

কীরকম ব্যাপারটা? দিনে যাঁরা তিনটে করে সেলফি তোলেন এবং প্রত্যেকটিই সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন, তাঁরা অ্যাকিউট সেলফাইটিসে আক্রান্ত। আর ঘণ্টায় ঘণ্টায় যদি কেউ সেলফি তোলেন, আর তা পোস্ট করতে থাকেন, তবে তিনি ক্রনিক সেলফাইটিসে আক্রান্ত। সেক্ষেত্রে এই ধরনের রোগীরা দিনে অন্তত ছটি করে সেলফি তোলেন। কেন এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন মানুষ? জানা যাচ্ছে, আত্মবিশ্বাস বাড়ানো, সামাজিকভাবে নিজেকে সংযুক্ত রাখা, বা নিজের পরিপার্শ্বের রেকর্ড রাখার তাগিদেই এই কাজ করে চলেন। অনেকে আবার মুড ভাল রাখার উপায় হিসেবে এটিকেও দেখেন। আসলে সামাজিক বিচ্ছিন্নতাই ক্রমাগত ঠেলে দিচ্ছে সেলফির দিকে। বহু মানুষের উপর সমীক্ষা চালিয়ে শেষমেশ এই সিদ্ধান্তেই উপনীত হয়েছেন গবেষকরা।

[ মোবাইল ফোনের রেডিয়েশনে ক্ষতি শরীরের, এই প্রথম মানলেন বিজ্ঞানীরা ]

তবে এ নিয়ে আরও গবেষণার প্রয়োজন আছে বলেই মনে করেন বিজ্ঞানীরা। ঠিক কী কারণে এরকম একটি ব্যবহারিক বিকৃতি বা অবসেসিভ ডিসঅর্ডারে স্বীকার হচ্ছে মানুষ, তার মূল খোঁজা প্রয়োজন বলেই মত বিজ্ঞানীদের।

The post সেলফি তোলা মানসিক অসুখ, দেশে সমীক্ষা চালিয়ে মত গবেষকদের appeared first on Sangbad Pratidin.

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement