সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজ্যের মন্ত্রী সাধন পাণ্ডের (Sadhan Pande) মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ রাজনৈতিক মহল। ইতিমধ্যেই টুইটে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেছেন রাজ্যপাল, মুখ্যমন্ত্রী ও অন্যান্য রাজনৈতিক নেতারা। রবিবার সন্ধেয় মুম্বই থেকে কলকাতায় ফেরানো হবে মন্ত্রীর দেহ।
বেশ কিছুদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী সাধন পাণ্ডে। চিকিৎসা চলছিল মুম্বইয়ের হাসপাতালে। রবিবার সকালে সেখানে মৃত্যু হয় তাঁর। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) টুইটে জানান মন্ত্রীর মৃত্যু সংবাদ। শোকবার্তায় তিনি জানান, “রাজ্যের প্রবীণ মন্ত্রী সাধন পাণ্ডের প্রয়াণে আমি গভীর শোক প্রকাশ করছি। তিনি আজ মুম্বইয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। বয়স হয়েছিল ৭১ বছর। সাধন পাণ্ডে ২০১১ সাল পর্যন্ত পাঁচবার কলকাতার বড়তলা কেন্দ্রের বিধায়ক ছিলেন। ২০১১ সাল থেকে তিনি মানিকতলা কেন্দ্রের বিধায়ক। বিভিন্ন উন্নয়ন ও সমাজসেবামূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে তিনি জড়িত ছিলেন। দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক সহকর্মী সাধনদার সঙ্গে আমার অত্যন্ত হৃদ্য সম্পর্ক ছিল। তাঁর মৃত্যুতে রাজনৈতিক জগতের অপূরণীয় ক্ষতি হল। আমি আমার অগ্রজকে হারালাম।”
[আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক মাদকপাচার চক্রের পর্দাফাঁস, আমেরিকা থেকে কুরিয়ারে গাঁজা পাচারে ধৃত ২]
মন্ত্রীর মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে রাজনৈতিক মহলে। সাধন কন্যা শ্রেয়া জানিয়েছেন, এক সপ্তাহ ধরেই তাঁর বাবার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছিল। তবু লড়াই করছিলেন তিনি। রবিবার সকালে থেমে গেল সেই লড়াই। ইতিমধ্যেই টুইটে দুঃখপ্রকাশ করেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। সাধন পাণ্ডের পরিবারকে সমবেদনা জানিয়েছেন তিনি।
সাধন পাণ্ডের স্মৃতিচারণা করেছেন তৃণমূলের মিডিয়া কো-অর্ডিনেটর কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, “সাধন দা-ই আমাকে নিয়ে গিয়েছিল মমতাদির কাছে। কোনওদিনও হারতে দেখিনি একবার ছাড়া। ২০০১ সাল থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে লড়াই করেছেন।” খড়দহের তৃণমূল বিধায়ক শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, “ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তরকে সাধন অন্যমাত্রায় নিয়ে গিয়েছিল। ভাবতেই পারছি না ও নেই। অদ্ভুত শূন্যতা তৈরি হল।” বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষও দুঃখপ্রকাশ করেছেন।
জানা গিয়েছে, রবিবারই বিমানে মুম্বই থেকে কলকাতায় নিয়ে আসা হবে সাধন পাণ্ডের মরদেহ। বিমানবন্দরে থাকবেন সুজিত বসু ও শশী পাঁজা। দেহ রবিবার রাতে রাখা হবে পিস হাভেনে।