সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজ্যে পুরভোটের পর পাহাড়ে জিটিএ নির্বাচন (GTA Election) করানো নিয়ে আগেই বার্তা দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এবার একযোগে জিটিএ ও পঞ্চায়েত ভোটের দামামা বাজিয়ে দিলেন তিনি। রবিবার শিলিগুড়ির গোঁসাইপুরে সরকারি প্রকল্পের উদ্বোধন করতে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee) বললেন, ”আমি চাই, আগামী মে-জুনের মধ্যেই জিটিএ নির্বাচন হোক। আমি সেই কাজে তদারকি করতেই এখানে এসেছি। তিনদিন থাকব। পাহাড়ের দলগুলির সঙ্গে আলোচনা করতে হবে।” তাঁর এই বক্তব্যের পরই কার্যত ব্যস্ততা শুরু হয়ে গিয়েছে গোর্খা টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে।
ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝিতে নবান্নের (Nabanna) তরফে পাহাড়ের নেতাদের কাছে জিটিএ নির্বাচন নিয়ে সবুজ সংকেত পৌঁছেছিল। রাজ্যের ১০৮টি পুরসভার (WB Civic Polls) ভোট করানোর পরই জিটিএ-তে ভোট করানোর পদক্ষেপ নেবে বলে জানায় সরকার। জানা গিয়েছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পাহাড়ের রাজনৈতিক দলগুলিকে ব্যক্তিগত স্তরে সেই উদ্যোগ নিতে বলে দিয়েছিলেন। এই ভোটপর্ব মিটলে পাহাড়ে পঞ্চায়েত নির্বাচন করানোর তোড়জোড় শুরু হবে বলে রবিবার শিলিগুড়ির জনসভায় জানান।
[আরও পড়ুন: বিয়ের দেড় মাস পর দুই রাজমিস্ত্রির সঙ্গে পালালেন বধূ! চাঞ্চল্য পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুরে]
এদিন পাহাড়ের তিন জেলায় মোট ১১ টি প্রকল্পের সূচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। যার জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ১১০ কোটি টাকা। মুখ্যমন্ত্রী জানান, আইনি জটিলতার জন্য পাহাড়ে জমির পাট্টা বিলি করা যায়নি এতদিন। এবারের সফরে তিনি তা বিলি করবেন। প্রসঙ্গত, জিটিএ-তে দীর্ঘদিন ভোট না হওয়া নিয়ে বিরোধী রাজনৈতিক মহলে ক্ষোভ ছিল। এমনকি জিটিএ-র অডিট নিয়ে একাধিকবার দাবি তুলেছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় (Jagdeep Dhankhar)।
[আরও পড়ুন: আগামী সপ্তাহের শুরুতেই ২ দিন ভারত বন্ধ, রাজ্যকে সচল রাখতে কঠোর নবান্ন]
পাহাড়ের উন্নয়নের পরিকল্পনায় ২০১৭ সালে দার্জিলিং (Darjeeling) থেকে আলাদা করে কালিম্পংকে আলাদা জেলার মর্যাদা দেওয়া হয়। জিটিএ অর্থাৎ গোর্খা টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের আওতায় রাখা হয় তাকে। কিন্তু জিটিএ-র আওতায় থেকে কোনও উন্নতিই হয়নি বলে অভিযোগ করে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছিলেন কালিম্পংয়ের বিধায়ক রুদেন লেপচা। তিনি জানান, পৃথক জেলা তৈরির পর উন্নয়ন নিয়ে অনেক আশা ছিল। কিন্তু গত ৫ বছরের তাঁরা আশাহত হয়েছেন। তাই জিটিএ-তে আর থাকতে চায় না কালিম্পং। বরং জেলা পরিষদ গঠন করে উন্নয়নে জোর দেওয়া হোক। সূত্রের খবর, এবারের সফরে পাহাড়ের রাজনৈতিক দল হামরো পার্টির সঙ্গে আলোচনা করবেন মুখ্যমন্ত্রী। আত্মপ্রকাশের পরই এই দলটিই দার্জিলিং পুরসভার ক্ষমতা দখল করেছে।