সুমন করাতি, হুগলি: জনসংযোগ করতে বেরিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়লেন চুঁচুড়ার তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদার। বৃহস্পতিবার দেবানন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় নিকাশি নালার উপর নড়বড়ে স্ল্যাবে আচমকা তাঁর পা পড়ে যায়। তাতেই বাঁ পায়ে আঘাত পান তিনি। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে সেখানে বসিয়ে শুশ্রূষা শুরু করেন দলের কর্মীরা। তবে এই ঘটনায় বিধায়ক নিজেই টের পেয়েছেন এলাকার নিকাশি নালাগুলি কতটা বিপজ্জনক। নিজে চোট পাওয়ার পর নিকাশি নালাগুলির উপর ভাঙা স্ল্যাব সরিয়ে নতুন করে মেরামতির অর্ডার দিয়েছেন অসিত মজুমদার।
গত লোকসভা নির্বাচনে চুঁচুড়া বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূল পিছিয়ে পড়ার পর থেকেই বিধায়ক অসিত মজুমদার নিজে উদ্যোগী হয়ে নিয়মিত জনসংযোগে নেমেছেন। রোজই কোনও না কোনও এলাকায় তিনি নিজে যাচ্ছেন। বৃহস্পতিবার গিয়েছিলেন দেবানন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত বিভিন্ন এলাকা ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন। জনগণ জল-সহ নিকাশি ব্যবস্থা নিয়ে অভিযোগ জানাচ্ছিলে তাঁর কাছে। এই সময়েই একটি জায়গায় নিকাশি নালার উপর থাকা স্ল্যাবে পা পড়ে যায় বিধায়কের। তাঁর বাঁ পায়ে আঘাত লাগে।
দেবানন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় স্ল্যাবে পা পড়ে আঘাত পেলেন বিধায়ক। নিজস্ব ছবি।
এ প্রসঙ্গে বিধায়ক অসিত মজুমদার বলেন, ''আজ দেবানন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে অন্তর্গত বিভিন্ন এলাকায় মানুষের অভিযোগ শুনতে গিয়েই এই বিপত্তি ঘটে। এলাকাবাসীর বিভিন্ন অভিযোগ শুনতে গিয়েই আমার ডান পা একটি স্ল্যাবের উপর পড়ে। তারপর থেকে আমার বাঁ পায়ে যন্ত্রণা টের পাচ্ছি।'' সঙ্গে থাকা তৃণমূল কর্মীরা অবশ্য বিধায়কের পাশে থেকে তাঁকে নানাভাবে সেবা করেন। আজকের ঘটনার পর ওই এলাকার বিভিন্ন নিকাশি নালার উপর ভাঙা স্ল্যাবগুলিকে নতুন করে মেরামত করার নির্দেশ দেন বিধায়ক।
গোটা বিষয়টি নিয়ে বিজেপি সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক সুরেশ সাউয়ের প্রতিক্রিয়া, ''আমরা সকলেই বিধায়কের সুস্থতা এবং দ্রুত আরোগ্য কামনা করি। আজ বিধায়ক যে পরিস্থিতির শিকার হয়েছেন, সাধারণ মানুষ সবসময় সেই সমস্যার মুখে পড়েন। তাই আজ তিনি অনুভব করেছেন। সাধারণ মানুষ প্রত্যহ কীভাবে এই পরিস্থিতির শিকার হন, তা বুঝতে পারছেন। তাই তিনি নিজেই সমস্ত স্ল্যাব মেরামতির নির্দেশ দিয়েছেন।''