বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত, নয়াদিল্লি: রাজনৈতিক ইস্যুতে মতপার্থক্য় হাজার। তবু দেশের প্রশ্নে কেন্দ্রের পাশে থাকারই বার্তা দিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (WB CM Mamata Banerjee)। সোমবার দিল্লিতে জি-২০ সম্মেলনের প্রস্তুতি বৈঠকে অংশ নিয়েছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে তিনি স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন, দেশের সম্মানের প্রশ্নে কেন্দ্রকে সবরকম সহযোগিতা করব।
২০২৩ সালে ভারতে বসবে জি-২০ সম্মেলনের (G-20 Summit) আসর। আন্তর্জাতিক সেই সম্মেলনের মঞ্চে কীভাবে দেশের ঐতিহ্য তুলে ধরা হবে, কীভাবে আন্তর্জাতিক অতিথিদের আপ্যায়ণ করা হবে, সেসব নিয়েই এদিন দিল্লিতে ছিল প্রস্তুতি বৈঠক। সূত্রের খবর, বৈঠকে মিনিট পাঁচেকের বক্তব্য রাখেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। জানান, “আমি সাংসদ থাকাকালীন বহুবার বিদেশে গিয়েছি। প্রচুর আলোচনাচক্রে অংশ নিয়েছি। কীভাবে এধরনের সম্মেলন আয়োজন করতে হয় তার অভিজ্ঞতা রয়েছে। সমস্তরকমভাবে কেন্দ্রকে সাহায্য করব। এটা কোনও দলীয় কর্মসূচি নয়, এটা দেশের ব্যাপার।”
[আরও পড়ুন: ‘দুবাইতে চোখের চিকিৎসা ভাল হয় না’, হাই কোর্টের বিচারপতির ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্যে শোরগোল]
সিএএ থেকে শুরু করে জিএসটি, প্রায় সমস্ত ইস্যুতেই দিল্লি-কলকাতা দ্বৈরথ তুঙ্গে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে রাজনৈতিক স্বার্থে লেলিয়ে দেওয়া হয়েছে বলেও বারবার অভিযোগ করেছেন মমতা। এই প্রেক্ষাপটে রাজধানীতে দেশের স্বার্থরক্ষায় কেন্দ্র-রাজ্য সহযোগিতার এক বেনজির ছবি এদিন ফুটে উঠল।
উল্লেখ্য, জি-২০ জোটের সদস্য হচ্ছে–আর্জেন্টিনা, অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, কানাডা, চিন, ফ্রান্স, জার্মানি, ইন্ডিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ইটালি, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, মেক্সিকো, রাশিয়া, সৌদি আরব, সাউথ আফ্রিকা, তুরস্ক, ব্রিটেন, আমেরিকা ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন। বিশ্বের অর্থনীতির ৮০ শতাংশ জিডিপি জি-২০ দেশগুলির দখলে। তাই কাশ্মীর ইস্যুতে জি-২০ মঞ্চের মতামত যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। আর ভারত কাশ্মীরে সম্মেলন আয়োজন করে নিজের অবস্থান আরও মজবুত করতে চাইছে। সব ঠিক থাকলে, আগামী বছর ভূস্বর্গে একমঞ্চে দেখা যাবে বিশ্বের তাবড় রাষ্ট্রপ্রধানদের। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, বিশ্বের অর্থনীতির ৮০ শতাংশ জিডিপি জি-২০ দেশগুলির দখলে।