ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: ঝড়ে বিপর্যস্ত জলপাইগুড়ি। হয়েছে প্রাণহানিও। বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শনে রবিবার রাতেই জলপাইগুড়ি যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাত ৯টা ৩৫ মিনিটে বিশেষ বিমানে রওনা দেবেন তিনি। পূর্বপরিকল্পনা মতো সোমবার বিকেল পাঁচটায় শিলিগুড়িতে সাংগঠনিক বৈঠকে যোগ দেবেন তিনি। তার আগে জলপাইগুড়ি যাবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবারই বিপর্যস্ত এলাকায় যাবেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসও।
রবিবার বিকেল তিনটে নাগাদ জলপাইগুড়িতে ঝড়ের তাণ্ডব শুরু হয়। এদিন ঘণ্টায় অন্তত ৬০ কিলোমিটার গতিবেগে ঝড় বয়ে যায় বিস্তীর্ণ এলাকায়। ঝড়ের পাশাপাশি ছিল শিলাবৃষ্টিও হয়। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ময়নাগুড়ির রাজারহাট, বার্নিশ, বাকালি, জোরপাকড়ি, মাধবডাঙা, সাপ্টিবাড়ি গ্রামে। প্রাণ হারান অন্তত পক্ষে ৪ জন। প্রচুর পাকাবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
[আরও পড়ুন: নিঃসন্তান মহিলাকে দিনরাত গঞ্জনা! শাশুড়িকে ‘খুন’ করে আত্মসমর্পণ গৃহবধূর]
চাল উড়েছে কয়েক হাজার বাড়ির। গাছ ও বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে জখম শতাধিক। বিঘার পর বিঘা ভুট্টা, বেগুন, ফুলকপি, বাধাকপি, টমেটো, লঙ্কা খেত তছনছ হয়েছে। শিলের আঘাতে জখম হন প্রচুর পথচারী। জলপাইগুড়ির মহকুমা শাসক তমোজিত চক্রবর্তী বলেন, “বিপর্যয় মোকাবিলা দলকেও কাজে লাগানো হয়েছে। বিভিন্ন সংগঠনের তরফে হেল্পডেস্ক খোলা হয়েছে।”
এই ঘটনায় শোকপ্রকাশ করে X হ্যান্ডেলে মমতা লেখেন, “ঝড়বৃষ্টিতে জলপাইগুড়ি, ময়নাগুড়ির বীভৎস পরিস্থিতি। প্রাণ গিয়েছে বহু। জখমও হয়েছেন অনেকে। ভেঙেছে ঘরবাড়ি। উপড়ে গিয়েছে গাছ এবং বিদ্যুতের খুঁটি। জেলা, ব্লক প্রশাসন, পুলিশ, বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, কুইক রেসপন্স টিম ঘটনাস্থলে দ্রুত পৌঁছয়। দুর্গতদের উদ্ধারের কাজ শুরু করে। বিপর্যস্তদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসনের তরফে আহতদের পরিবারের জন্য যথোপযুক্ত ব্যবস্থাপনা করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে আছি। প্রশাসনের তরফেও ত্রাণের বন্দোবস্ত করা হবে।” এর পরই বিপর্যয় বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শনের সিদ্ধান্ত নেন মমতা।