অর্ক দে, বর্ধমান: সরকারি চাকরি পাওয়ার পরই স্বামীর ঈর্ষায় ডান হাত খুইয়েছেন কেতুগ্রামের নার্স রেণু খাতুন। অতীতকে পিছনে ফেলে নতুন করে বাঁচার লড়াইও শুরু করেছেন তিনি। আর রেণুর এই লড়াইয়ে নতুন প্রাণশক্তি জোগালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (WB CM Mamata Banerjee)। দেখা হতেই মুখ্যমন্ত্রী বুকে টেনে নিলেন রেণুকে। বললেন, “লড়াই চালিয়ে যাও।” রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানের কাছে মাতৃস্নেহ পেয়ে স্বাভাবিকভাবেই আপ্লুত রেণু।
কেতুগ্রামের নৃশংস ঘটনার কথা জানার পরই রেণুর (Renu Khatun) পাশে দাঁড়ান রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। জানান, স্বাস্থ্যদপ্তরের কাজেই যোগ দেবেন রেণু। পাশাপাশি তাঁর চিকিৎসার দায়িত্ব নেয় রাজ্য। নকল হাতের ব্যবস্থা করা হবে বলেও মেলে প্রতিশ্রুতি। মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি মতোই সুস্থ হয়ে ওঠার পর নিয়োগপত্র হাতে পান রেণু। মুখ্যমন্ত্রীকে ‘মা’ বলে সম্বোধন করে কাজে যোগ দেন। তখনই মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার ইচ্ছে প্রকাশ করেছিলেন তিনি। অবশেষে সোমবার সেই ইচ্ছেপূরণ হল কেতুগ্রামের বধূর।
[আরও পড়ুন: SLST নিয়োগ পরীক্ষায় ভুল প্রশ্ন, পরীক্ষার্থীদের নম্বর দেওয়ার নির্দেশ কলকাতা হাই কোর্টের]
সোমবার নবাবহাটের সভাস্থলে ঢুকেই রেণুর সঙ্গে দেখা করেন মুখ্যমন্ত্রী। দেখা হতেই জিজ্ঞেস করেন, “মামলা করেছ তো?” প্রাণশক্তি জুগিয়ে রেণুকে মমতার বার্তা,” লড়াই চালিয়ে যাও।” এরপর মুখ্যমন্ত্রীকে প্রণাম করতে যান রেণু। তখনই তাঁকে বুকে টেনে নেন মমতা। জড়িয়ে ধরে বলেন, “অনেক বড় হতে হবে।” স্বাভাবিকভাবেই মুখ্যমন্ত্রীকে এত কাছে পেয়ে আপ্লুত রেণুও। বলছেন, “মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সরাসরি কথা বলতে পারব ভাবতে পারিনি। আমার অনুভূতি প্রকাশ করার মতো ভাষা নেই।”
কেতুগ্রামের রেণু খাতুন বলছেন. “মুখ্যমন্ত্রী প্রথমেই আমার চিকিৎসা ঠিকমতো চলছে কিনা সেই বিষয়ে খবর নেন। আমি কাজে যোগ দিয়েছি কিনা সেই খবর নেন। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে আর্টিফিসিয়াল হাত লাগানোর ব্যবস্থা করা হবে বলেও জানান। আমাকে আরও ভাল করে কাজ করার জন্য উৎসাহ দেন।” আপ্লুত রেণুর কথায়, “উনি আমার জন্য এতো কিছু করেছেন। ওঁর প্রতি আজীবন কৃতজ্ঞ থাকব।”