ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘যশ’। ইতিমধ্যেই জেলায় জেলায় শুরু হয়েছে বৃষ্টি। বুধবার ভয়ংকর ঘূর্ণিঝড আছড়ে পড়বে উপকূলবর্তী এলাকায়। এই পরিস্থিতিতে প্রত্যেক বিধায়ককে এলাকার মানুষের পাশে থাকার নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিধায়কদের বলেছেন, “উপকূলবর্তী এলাকার মানুষকে দ্রুত নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যেতে হবে। সেখানে যাতে থাকা-খাওয়ার কোনও সমস্যা না হয় তা খতিয়ে দেখতে হবে। ঝড় শেষে দ্রুত পরিস্থিতি আয়ত্তে আনার চেষ্টা চালাতে হবে। ক্ষতিগ্রস্ত ঘর-বাড়ি দ্রুত মেরামতির ব্যবস্থা করতে হবে।” জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই রিলিফ সেন্টারগুলির জন্য উপকূলবর্তী এলাকার গ্রাম পঞ্চায়েতে পাঠানো হয়েছে ১০ কুইণ্টাল চাল, শুকনো খাবার। বাঁধের দিকে নজর দেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যেই উপকূলের বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ শুরু হয়েছে বলেই খবর। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, “মানুষের পাশে থেকে কাজ করতে হবে, পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হবে হাতে হাত মিলিয়ে। “
[আরও পড়ুন: ‘আবর্জনা গিয়ে দলের ভাল হয়েছে, ফেরানো হবে না’, সরলাকে কড়া বার্তা মৌসম নূরের]
উল্লেখ্য, আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, শক্তি বাড়িয়ে ক্রমশই বাংলার দিকে এগোচ্ছে ঘূর্ণিঝড় যশ। দিঘা থেকে মাত্র ৬৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে ঘূর্ণিঝড়। সোমবার থেকেই জলোচ্ছ্বাস শুরু হবে। মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যাতায়াতের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। ক্রমশই দক্ষিণবঙ্গে বাড়বে বৃষ্টির পরিমাণ। এছাড়া ওড়িশা ও বাংলা উপকূলে ঘণ্টায় ৫০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে বইবে ঝোড়ো হাওয়া। মঙ্গলবার আরও শক্তি বাড়বে তার। ৭০ কিলোমিটার ও তার বেশি বেগে বইবে ঝোড়ো হাওয়া। ওড়িশা এবং বাংলা উপকূলে বৃষ্টি জারি থাকবে। ঘূর্ণিঝড় ক্রমশ উত্তর-পশ্চিম দিকে এগোবে। বুধবার তা আছড়ে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। সে সময় ঝড়ের গতিবেগ থাকতে পারে ১৫৫-১৬৫ কিলোমিটার। গতিবেগ তার চেয়েও বাড়তে পারে বলেই মত আবহাওয়াবিদদের একাংশের। ঝড়ের তাণ্ডবে দোতলা বাড়ির সমান প্রায় ২০ ফুট উচ্চতা পর্যন্ত সমুদ্রের ঢেউ উঠতে পারে। ফলে ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবলীলায় উপকূলীয় অঞ্চলগুলি ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।