অর্ণব দাস, বারাসত: পঞ্চায়েত নির্বাচনের আবহেই মঙ্গলবার আদ্যাপীঠে পৌঁছে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মা লতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সঙ্গে নিয়ে দিলেন পুজোও। সেখানেই নিজের মায়ের এক অতীত কাহিনির কথা তুলে ধরলেন মুখ্যমন্ত্রী। জানালেন, আদ্যাপীঠে পুজো দিতে এসে কেমন অভিজ্ঞতা হয়েছিল তাঁর মায়ের।
এদিন বিকেলে দক্ষিণেশ্বর রামকৃষ্ণ সংঘ আদ্যাপীঠ মন্দিরে পৌঁছান মমতা (CM Mamata Banerjee)। তাঁর আসার আগে আদ্যাপীঠ মন্দির ও মন্দির সংলগ্ন অঞ্চলে দেখা গেল কঠোর নিরাপত্তা। মন্দির চত্বরে মুখ্যমন্ত্রী প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গেই তাঁকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান দক্ষিণেশ্বর রামকৃষ্ণ সংঘ আদ্যাপীঠ মন্দিরের ট্রাস্টি বোর্ডের সম্পাদক ব্রহ্মচারী মুরাল ভাই। এরপর ব্রহ্মচারী মুরাল ভাই ও মন্দিরের অন্য ব্রহ্মচারীরা তাঁকে নিয়ে যান মন্দিরের ভিতর। আরতি করে, প্রণামীর শাড়ি দিয়ে পুজো দেন মমতা।
[আরও পড়ুন: রাজ্যের ২ কোটি ২৩ লক্ষ পড়ুয়াকে হাম-রুবেলার টিকা, বিরাট সাফল্য মমতা সরকারের]
এরপরই মুখ্যমন্ত্রীর মুখে শোনা যায় তাঁর মায়ের কথা। তিনি জানান, “অনেকদিন ধরেই ভাবছিলাম আদ্যাপীঠে আসি। কিন্তু ওই যে বলে, মা না ডাকলে যাওয়া যায় না। এটা আমি বিশ্বাস করি। আর আজ এখানে এসে মায়ের কথা মনে পড়ে গেল।” তবে সেই কাহিনি বলার আগে সকলের কাছে ক্ষমা চেয়ে নেন তিনি।
তারপর বলতে থাকেন, “২০০৯ সাল। আমি তখন রেলমন্ত্রী ছিলাম। মা আর ছোট বোন তখন এসেছিলেন আদ্যাপীঠে পুজো দিতে। মাকে একটা সুতির শাড়ি কিনে দিয়েছিলাম পুজোয় দেওয়ার জন্য। ভোর ৪টেয় মা আর বোন পৌঁছে গিয়েছিলেন। কিন্তু পুজোর দায়িত্বে যাঁরা ছিলেন, তাঁরা বলেন যে আরও অনেক দামী শাড়ি আসবে। বেনারসী ধরনের শাড়িই সাধারণত পরানো হয় মা’কে। তাই অন্য শাড়ি এলে পুজোয় আমার মায়ের হাতের সুতির শাড়িটি দিয়ে দেওয়া হবে। সেই অপেক্ষায় বিকেল ৫টা পর্যন্ত বসেছিলেন মা। কিন্তু সেদিন আর কোনও শাড়ি আসেনি। তখন পুরোহিতরা এসে আমার মা’কে বলেন, আপনার শাড়িটিই প্রতিমাকে পরানো হবে।” তাই মুখ্যমন্ত্রী বিশ্বাস করেন, যে ভক্তের থেকে ঈশ্বর পুজো নিতে চাইবেন, তাঁকে রোখা সম্ভব নয়।