ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: মহালয়া থেকেই কলকাতার নামীদামি পুজোগুলির দ্বারোদ্ঘাটন হয়ে যায় মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরে। কিন্তু এবছর ব্যতিক্রম। পায়ে চোট নিয়ে প্রায় ঘরবন্দি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। তাই এবার ভারচুয়াল উদ্বোধন হচ্ছে পুজোগুলির। শনিবার মহালয়ার দিন দুপুরে তাই কয়েকটি পুজোর উদ্বোধনের পাশাপাশি সূচনা করলেন ‘জাগো বাংলা’র (Jago Bangla) উৎসব সংখ্যার। এ বইয়ের প্রচ্ছদও এঁকেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর নিজের লেখা একটি বইয়েরও উদ্বোধন হল শনিবার। আর ভারচুয়ালি সেই অনুষ্ঠানে নিজের পায়ের সমস্যার কথা শোনালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেইসঙ্গে বার্তা, ”কোনও বিদ্বেষ নয়। ভাগাভাগি নয়। সবাই একসঙ্গে থাকুন।”
এদিন ‘জাগো বাংলা’র উৎসব সংখ্যার উদ্বোধনে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ”শুভ মহালয়া। আজ আমি যেতাম। কিন্তু প্রথমে হেলিকপ্টার থেকে নামতে গিয়ে লাগে, পরে আবার বার্সেলোনায় চোট লাগে। সেই নিয়েই কাজ করে গিয়েছি। কিন্তু ফিরে অপারেশন হয়। তার পর বড় ইনফেকশন হয়ে গিয়েছিল। কীভাবে জীবন-মৃত্যুর সঙ্গে সংঘর্ষ করে ১৫ দিন কষ্ট করে ফিরে এসেছি। টানা কদিন স্যালাইনের চ্যানেল করে আইভি ইনজেকশন দেওয়া হয়েছে। এখন অনেকটাই সুস্থ। হাঁটছি।” এর পরই শারদ শুভেচ্ছা জানান মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, ”আমাদের পুজো ইউনেস্কো (UNESCO) হেরিটেজ তকমা পেয়েছে। কটা লোক কী বলল না বলল, শুনবেন না। গুরুত্ব দেবেন না। কারও প্ররোচনায় পা দেবেন না।ধর্ম যার যার, উৎসব সবার।পুজো ভাল করে কাটান। নিজের এলাকায় থাকবেন।”
[আরও পড়ুন: বন্দুক কাঁধে বাচ্চা সামলাচ্ছে হামাস! প্রকাশ্যে বন্দি ইজরায়েলি শিশুদের ভিডিও]
তৃণমূল মুখপত্রের নিরপেক্ষতা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, ”আজকাল কোনও কিছুই নিরপেক্ষ নেই। সবই এক পক্ষ। তবে আমাদের জাগো বাংলা অনেকটাই নিরপেক্ষ। আমরা এখনও বিজ্ঞাপন নিই না।” ‘জাগো বাংলা’র উৎসব সংখ্যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি কবিতা প্রকাশিত হয়েছে, যার নাম ‘ভাবছি’। এছাড়া তাঁর একটি নতুন বইও প্রকাশিত হল আজ, মহালয়ার দিন।
[আরও পড়ুন: হামাসের হাতে আটকে দেশের নাগরিক, ছাড়াতে জঙ্গিগোষ্ঠীর সঙ্গে বৈঠকে রুশ মন্ত্রী]
‘জাগো বাংলা’র উৎসব সংখ্যায় কাজ করতে গিয়ে নিজের অভিজ্ঞতা জানালেন দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। তিনি বললেন, ”মমতাদির নেতৃত্বে আমাদের সব। একটা ভুল বেরলে সর্বনাশ। আর রাত পর্যন্ত ভুলত্রুটি শুধরে যিনি দেন, তিনি অভিষেক। তাঁর নেতৃত্বে একটা টিম কাজ করছে। কলকাতা ও তার চারপাশের পুরসভায় কাউন্সিলররা যাতে ‘জাগো বাংলা’ কিনে আরও বেশি করে দেওয়া যায়। আর পুজোয় স্টল যদি দেওয়া যায়। পার্টির কথা, নির্দেশ, কর্মসূচি যেন সকলের কাছে পৌঁছে যায়।”