দিশা ইসলাম, সল্টলেক: পুলিশে কেন অভিযোগ জানানো হয়েছিল? জামিন পাওয়ার পরেই অভিযোগকারী দুই তরুণীকে প্রকাশ্য রাস্তায় মারল অভিযুক্তরা। আস্ত থান ইট দিয়ে মহিলাকে বারবার আঘাত করা হল। হামলার ঘটনায় রক্তাক্ত ওই দুই তরুণী। হাড়হিম করা ওই ঘটনাটি ঘটেছে খাস কলকাতার বিধাননগর এলাকায়। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। এই গোটা ঘটনায় প্রবল আতঙ্কে রয়েছেন ওই দুই তরুণী।

জানা গিয়েছে, প্রথম ঘটনাটি ঘটেছে ১৮ মার্চ রাতে। বিধাননগরের শান্তিনগরের একটি বাড়িতে দুই মহিলা ভাড়ায় থাকেন। বাড়ির সামনেই রাস্তায় তাঁদের গাড়ি রাখা থাকে। ওই রাতে তাঁদের গাড়ি ভাঙচুরের চেষ্টা হয় বলে অভিযোগ। সেই ঘটনা দেখে দুই তরুণীই নিচে নামেন। টিঙ্কু মণ্ডল নামে এক যুবক ওই ভাঙচুর চালাচ্ছিল বলে অভিযোগ। তাকে আটকান ওই দুই তরুণী। এরপরই টিঙ্কু তার এক সঙ্গীকে সেখানে ডেকে নেয়। দুই তরুণীর সঙ্গে শুরু হয় বচসা।
সেখান থেকেই ওই দুই তরুণী বিধাননগর থানায় অভিযোগ জানান। রাতেই সেখানে পুলিশ পৌঁছে টিঙ্কু ও তার সঙ্গীকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়। পরদিন তাদের আদালতে তোলা হলে দুজনে জামিনও পেয়ে যায়। আর তারপরেই ওই দুই তরুণীর উপর চড়াও হয় দুই অভিযুক্ত ও টিঙ্কু মণ্ডলের স্ত্রী। প্রকাশ্য রাস্তায় শুরু হয় মারধর। চড়, ঘুসি, লাথি মারা হয় বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয়, টিঙ্কু মণ্ডল থান ইট দিয়ে এক তরুণীকে মারতে থাকে বলেও অভিযোগ। ইটের ঘায়ে রক্তাক্ত হন তরুণী। মারধরের ঘটনায় হাত, মুখ, ঘাড়ে আঘাত লেগেছে বলে অভিযোগ।
ওই ঘটনার পর ফের বিধাননগর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। বেশ কিছুদিন কেটে গেলেন অভিযুক্তরা অধরা। এই অবস্থায় আক্রান্ত দুই বান্ধবীই নিরাপত্তাহীনতায় কাটাচ্ছেন। আজ মঙ্গলবার দুপুরে দুই তরুণী বিধাননগরের অ্যাসিস্ট্যান্ট পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে দেখা করেন। গোটা বিষয়টি তাঁকে জানানো হয়। দ্রুত তদন্তের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে বলে খবর।