সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনার টিকাকরণ (Corona vaccine) নিয়ে সোমবার বড় ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। জানিয়ে দেন, ২১ জুন থেকে ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে সব নাগরিককে বিনামূল্যে টিকা দেবে ভারত সরকার। আর তারপরই মোদিকে টুইট খোঁচা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। লিখলেন, দীর্ঘদিন ধরে বিনামূল্যে করোনা টিকা দেওয়ার যে দাবি তোলা হয়েছিল, চাপের মুখে অবশেষে তা মেনে নিলেন প্রধানমন্ত্রী।
সোমবার জাতির উদ্দেশে ভাষণে মোদি ঘোষণা করেন, এবার থেকে দেশে উৎপাদিত মোট ভ্যাকসিনের ৭৫ শতাংশ কিনবে ভারত সরকার। সেই ভ্যাকসিন বিনামূল্যে তুলে দেওয়া হবে রাজ্য সরকারগুলির হাতে। রাজ্য সরকারকে ভ্যাকসিনের জন্য কোনও টাকা খরচ করতে হবে না। এই প্রক্রিয়া আগামী ২১ জুন যোগ দিবস থেকে শুরু হবে। এরপরই এদিন সন্ধেয় টুইটারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) লেখেন, “সেই ফ্রেব্রুয়ারি মাস থেকে প্রত্যেককে বিনামূল্যে টিকা দেওয়ার ব্যবস্থার দাবি জানিয়েছিলাম। এক নয়, একাধিকবার কেন্দ্রকে এই চাহিদার কথা জানানো হয়েছে। সেই নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে চার মাস সময় লেগে গেল। চাপের মুখে পড়ে অবশেষে এই ঘোষণা করলেন।” এরপরই কটাক্ষ, “অতিমারীর গোড়াতেই সাধারণ মানুষের কথা ভাবা উচিত ছিল কেন্দ্রের। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত এত দেরি করে পদক্ষেপ করায় বহু মানুষ প্রাণ হারালেন। আশা করি, এবার শুধু নিজেদের প্রোপাগান্ডা না করে ভালভাবে টিকাকরণ অভিযান করবে কেন্দ্র।”
[আরও পড়ুন: কলকাতা বন্দরে অবতরণের আগে বড়সড় বিপত্তি, গুরুতর আহত তিন বিমানযাত্রী]
এদিন প্রধানমন্ত্রী জানান, এ বছর ১৬ জানুয়ারি থেকে এপ্রিলের শেষ পর্যন্ত টিকাকরণ মূলত কেন্দ্রের হাতেই ছিল। দেশ বিনামূল্যে টিকাকরণের দিকে এগোচ্ছিল। কিন্তু তারপর অনেক রাজ্য টিকাকরণের ভার নিজেদের হাতে চাইছিল। স্বাস্থ্য যেহেতু মূলত রাজ্যের ব্যাপার, তাই ভারত সরকার রাজ্যগুলির উপর টিকাকরণের (Vaccination) ভার ছেড়েছিল। ভারত সরকার গাইডলাইন তৈরি করেছিল, যাতে রাজ্য সরকারগুলি নিজেদের মতো ব্যবস্থা করতে পারে। তবে অনেক রাজ্য সরকারের টিকা দানে সমস্যা হচ্ছিল। সেই সমস্যা মেটাতেই কেন্দ্র আগের মতো সব নাগরিকের টিকাকরণের দায়িত্ব নিল।