অরিজিৎ গুপ্ত, হাওড়া: ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচিতে তাঁরই নির্দেশে বাড়ি বাড়ি গিয়ে সাধারণ মানুষের সমস্যার কথা শুনছেন তৃণমূল নেতা-মন্ত্রী ও জনপ্রতিনিধিরা। গ্রামে গিয়ে রাত কাটাচ্ছেন। কিন্তু এতেও বুঝি তাঁর শান্তি নেই! তাই সোমবার হাওড়ায় প্রশাসনিক বৈঠকে যোগ দিতে যাওয়ার পথে শহরের ২৯ নম্বর নম্বরের একটি বসতিতে নিজেই চলে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরিস্থিতি পরিদর্শন করে শুনলেন বসতির বাসিন্দাদের সমস্যার কথা। রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানকে কাছে পানীয় জল, নিকাশি-সহ বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে অভিযোগ করলেন বসতির বাসিন্দারা।
[আরও পড়ুন: অর্থ দপ্তরের অনুমতি ছাড়া পুরসভায় কাজ কেন? ফিরহাদকে তিরস্কার মুখ্যমন্ত্রীর]
ফের জেলা সফর শুরু করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার হাওড়ার শহরে জেলার প্রশাসনিক আধিকারিক, পুর প্রতিনিধি ও মন্ত্রীদের সঙ্গে প্রশাসনিক বৈঠক করলেন তিনি। তবে স্রেফ জনপ্রতিনিধি বা প্রশাসনিক আধিকারিকদের মুখ থেকেই নয়, হাওড়ার মানুষের অবস্থা নিজেও খতিয়ে দেখলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার প্রশাসনিক বৈঠকে যোগ দিতে যাওয়ার পথে ফোরশোর রোড লাগোয়া রাউন্ড ট্যাঙ্ক লেনের একটি বসতি হাজির হন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী এমন আচমকাই পরিদর্শনে প্রথমে কিছুটা হকচকিয়েই গিয়েছিলেন বসতির বাসিন্দারা। তাঁদের কাছেই সরাসরি অভাব-অভিযোগের কথা জানতে চান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজেও বসতিটি ঘুরে দেখেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পানীয় জল, নিকাশি-সহ বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দেন হাওড়া শহরের ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের ওই বসতির বাসিন্দারা। সবকিছু দেখে শুনে রীতিমতো ক্ষুদ্ধ মুখ্যমন্ত্রী। আর এই ঘটনার প্রতিফলন দেখা যায় হাওড়া জেলার প্রশাসনিক বৈঠকে।
প্রশাসনিক বৈঠকে জেলার বিভিন্ন বসতি এলাকার উন্নয়ন কেন থমকে আছে? হাওড়া পুরনিগমের বিদায়ী মেয়রের কাছে জানতে চান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শহরের পানীয় জলের সমস্যা মেটাতে ওলাবিবিতলায় একটি পাম্পিং স্টেশন তৈরির কাজও শুরু হয়েছিল। এখন সেই কাজ বন্ধ। প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী জানতে পারেন, অর্থ দপ্তরের অনুমতি ছাড়াই হাওড়ায় পাম্পিং স্টেশনের কাজ চলছিল। তাতে আরও রেগে যান মুখ্যমন্ত্রী। অর্থ দপ্তরের অনুমতি ছাড়া কেন পুরসভায় কেন অস্থায়ী কর্মী নিয়োগ করা হচ্ছে, তারও জবাব চান তিনি।
The post জনতার মন বুঝতে নিজেই আসরে মমতা, হাওড়ায় বৈঠকের আগে বসতি ঘুরে শুনলেন অভিযোগ appeared first on Sangbad Pratidin.