সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আম্বানিদের আমন্ত্রণে দুদিনের সফরে মুম্বই যাচ্ছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তবে সেখানে শুধুই বিয়েবাড়ির আমন্ত্রণ রক্ষা নয়, একগুচ্ছ রাজনৈতিক কর্মসূচিও রয়েছে তাঁর। বৃহস্পতিবার দুপুরে মুম্বই (Mumbai)উড়ে যাওয়ার আগে দমদম বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে বিস্তারিত সূচি জানালেন মুখ্যমন্ত্রী নিজেই। শুক্রবার, অনন্ত আম্বানি-রাধিকা মার্চেন্টের বিয়েতে যোগ দেওয়ার আগে সকালে উদ্ধব ঠাকরে ও শরদ পওয়ারের সঙ্গে দেখা করবেন বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী জানান, ''আম্বানিরা অনেকবার আমাকে ছেলের বিয়েতে যাওয়ার জন্য বলছে। ছেলেও বলেছে, নীতাজিও বার বার বলেছেন। তা সত্ত্বেও আমি হয়ত যেতে পারতাম না। কিন্তু নিমন্ত্রণ তো, তাই সেখানে যাচ্ছি। তবে শুধু বিয়েবাড়িতেই যাব না, আগামিকাল আমি উদ্ধব ঠাকরের (Uddhav Thackeray) সঙ্গে দেখা করার জন্য সময় চেয়েছি। ভোটের পর থেকে ওঁর সঙ্গে আর দেখা বা কথা হয়নি কোনও। আর শরদজির (শরদ পওয়ার) বাড়িতেও যাব, ওঁর সঙ্গে দেখা করতে। তার পর বিকেলে অখিলেশও চলে আসবে, ওর সঙ্গেও কথা হয়ে যাবে। সন্ধেবেলা বিয়েবাড়ি অ্যাটেন্ড করে আমি পরশু (শনিবার) ফিরে আসব।''
[আরও পড়ুন: মাওবাদী নেতা অর্ণবের পিএইচডি ভর্তিতে জটিলতা! পাশে দাঁড়িয়ে উপাচার্যকে তোপ কুণালের]
১২ জুলাই মুম্বইয়ের জিও ওয়ার্ল্ডে মুকেশ ও নীতা আম্বানির ছোট ছেলে অনন্ত আম্বানির (Anant Ambani) বিয়ের এলাহি আয়োজন। হীরক ব্যবসায়ী পরিবারের মেয়ে রাধিকার সঙ্গে সাত পাকে বাঁধা পড়বেন অনন্ত। সেই উপলক্ষে নিমন্ত্রিত বহু হেভিওয়েট, নামীদামি ব্যক্তিত্ব। যে তালিকায় রয়েছেন একাধিক রাজনৈতিক নেতা। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী থেকে উত্তরপ্রদেশের অখিলেশ যাদব - আম্বানি পরিবারের আমন্ত্রণ পেয়েছেন সকলে। আর এই আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে মুম্বই যাচ্ছেন প্রায় সকলেই।
[আরও পড়ুন: নিটের প্রশ্নফাঁস একেবারে স্থানীয় স্তরে, সমাজমাধ্যমে নয়! সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা সিবিআইয়ের]
তবে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী বাইরে গেলে সাধারণত এক সফরে একাধিক কর্মসূচিতে যোগ দেন। এবারও তার ব্যতিক্রম হল না। দুদিনের মুম্বই (Mumbai) সফরেও একাধিক রাজনৈতিক বৈঠক রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এই অনুষ্ঠানের মাঝেই উদ্ধব ঠাকরে, শরদ পওয়ার, অখিলেশ যাদবদের সঙ্গে রাজনৈতিক আলোচনা সেরে নেবেন তিনি।
এনিয়ে বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্যর প্রতিক্রিয়া, ''চারজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের আলোচনা তারা তো নিশ্চয়ই ইউরো কাপ বা লুডো নিয়ে আলোচনা করবেন না। রাজনৈতিক কথাই আলোচনা করবেন। কথাবার্তা বলবেন যত বলবেন তত ভালো, সংঘবদ্ধ বিরোধী শক্তি থাকুক। যতই আলোচনা করুক তাঁরা, ভোট বাড়বে বিজেপির। খাড়গেজি বলুন, অধীররঞ্জন চৌধুরীর কী হবে। তৃণমূল ও কংগ্রেসের DNA এক। ওরা মাঝেমধ্যে যাবে, নৈশভোজে দেখা হবে, ব্রেকফাস্টে অনুপস্থিত থাকবে।''