সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মহামারী রুখে দিতে দেশজুড়ে চলতি সপ্তাহেই শুরু হচ্ছে টিকাকরণ (Corona vaccine) কর্মসূচি। তাকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে কেন্দ্র থেকে রাজ্য প্রশাসন সকলে। এমনকী বিভিন্ন রাজনৈতিক দলও এই ইস্যুতে এক হয়ে কাজ করার বার্তা দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে টিকাকরণের কাজ কীভাবে হবে, তার চূড়ান্ত রূপরেখা স্থির করতে সোমবার বিকেলে সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের নিয়ে ভারচুয়াল বৈঠকে বসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)। তাতে যোগ দেবেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও (CM Mamata Banerjee)। আর তাই তিনি রানাঘাটে দলীয় কর্মসূচি সেরেই দ্রুত ফিরবেন নবান্নে। সেখান থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী ডাকা বৈঠকে। কারণ, আপাতত সেই আলোচনাই এই মুহূর্তে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
রাজ্যে বিধানসভা ভোটের দামামা পুরোপুরি বেজে ওঠার অনেক আগে থেকেই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে রাজ্যের শাসকদল। মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো নিজে জেলাগুলিতে ঘুরে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখছেন, চাঙ্গা করছেন দলীয় কর্মীদের। সোমবার দুপুরে নদিয়ার রানাঘাটে তেমনই এক কর্মসূচিতে যাবেন মমতা। হবিবপুরের ছাতিমতলার মাঠে জনসভা। মতুয়া অধ্যুষিত রানাঘাটে তিনি নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (CAA) নিয়ে বক্তব্য রাখতে পারেন। উনিশের লোকসভায় ভোটে এই কেন্দ্র চলে গিয়েছিল বিজেপির দখলে। এরপর জেলার রাজনৈতিক মহলে রদবদল ঘটে গিয়েছে অনেক। বিধানসভা নির্বাচনে এই অঞ্চলে বিজেপি যাদের তৃণমূলের নিজস্ব ভোটব্যাংকে থাবা বসাতে না পারে, সেই লক্ষ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আজকের সফর বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশ। ফলে নানা বিষয় নিয়ে তিনি এদিন বার্তা দিতে পারেন।
[আরও পড়ুন: ভিনধর্মে বিয়ের জের, অসুস্থতা সত্ত্বেও হুগলির হোটেলে ঘর পেলেন না দম্পতি!]
অন্য সময় সভা শেষের পরও জেলা দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে একান্তে কথাবার্তা বলে থাকেন তৃণমূল সুপ্রিমো। তবে সোমবার সেই ফুরসৎ হবে না। সভা শেষ করে দ্রুত নবান্নে ফিরে আসবেন মুখ্যমন্ত্রী। নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী, বিকেল চারটে নাগাদ প্রধানমন্ত্রী করোনা টিকাকরণ নিয়ে সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন। রাজ্যগুলির করোনা পরিস্থিতির খোঁজখবরও নেবেন। কেন্দ্র-রাজ্য যথাযথ সমন্বয় রেখে কীভাবে সুষ্ঠু উপায়ে টিকাকরণের কাজ করা যায়, তা নিয়ে কথা বলবেন সকলের সঙ্গে। ততক্ষণে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্নে ফিরে সেই বৈঠকে যোগ দেবেন। এমনই খবর প্রশাসনিক সূত্রে। বৈঠকের শুরু থেকে যোগদানের লক্ষ্যে তাই রানাঘাট থেকে দ্রুত ফিরতে চান মুখ্যমন্ত্রী।