ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: আরও একধাপ এগোল জয় হিন্দ বাহিনীর কাজ। জানা গিয়েছে, নেতাজিকে সম্মান জানাতে তৈরি এই বাহিনীর লোগো তৈরি করবেন খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।
সোমবার আজাদ হিন্দ বাহিনীর ধাঁচে ‘জয় হিন্দ বাহিনী’ গড়ার সিদ্ধান্ত এদিন মন্ত্রিসভায় পাস হয়েছে। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর সম্মানে তাঁর গড়া বাহিনীর মতোই এই বাহিনীর পোশাকের রং হবে। জঙ্গলমহল, শিলিগুড়ি, কলকাতা এবং বারাকপুর মোট চারটি জোন তৈরি করে রাজ্যের সমস্ত এলাকা থেকে এই বাহিনীতে নিয়োগ হবে। বাহিনীর লোগো আঁকবেন মুখ্যমন্ত্রী নিজে। তাঁদের শপথবাক্য কী হবে তা–ও বলে দেবেন তিনিই।
[আরও পড়ুন: ঘনিষ্ঠদের বসানো হচ্ছে বড় পদে! একাধিক অভিযোগ নিয়ে শীর্ষনেতৃত্বকে চিঠি বিজেপির ‘আদি’ নেতাদের]
মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, “উন্নততর মানুষ তৈরির প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে তাঁদের। আজাদ হিন্দ ফৌজের যে বাহিনী তৈরি করেছিলেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বোস সেই পোশাকটাই আমরা ব্যবহার করব। যাতে নেতাজির নাম এবং স্লোগান দুটোই আগামী প্রজন্ম মনে রাখতে পারে। তাঁকে স্মরণ করতে পারে। স্বামী বিবেকানন্দের আদর্শে উন্নততর মানুষ তৈরির চেষ্টা এই বাহিনীর মাধ্যমে করা হবে।”
উল্লেখ্য, সোমবারের মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী, প্রতি বছর ছ’হাজার জনকে ইনটার্ন হিসাবে নেবে সরকার। সরকারি প্রকল্পের বিভিন্ন কাজ শেখানো হবে। আবেদনকারীরা নিজেদের স্থানীয় বিডিও, এসডিও–র মতো সরকারি বা আধা সরকারি অফিসে নিয়োগ পাবেন। পাঁচ হাজার টাকা করে পারিতোষিক মিলবে। শেষে মিলবে শংসাপত্র। যাঁরা ভাল কাজ করবেন, তাঁদের রিভিউ করে আবার ইনটার্নের সময়সীমা বাড়ানো হবে। কারা সুযোগ পাবেন তা দেখার জন্য মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে একটি সিলেকশন বোর্ড গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। যারা স্কুল শিক্ষা দপ্তরের সঙ্গে মিলিতভাবে এই প্রকল্পের জন্য ইনটার্ন বাছাই করবে। মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া তথা অনুযায়ী পলিটেকনিক, আইটিআই বা তার সমান কোনও কোর্সে ‘আন্ডার গ্র্যানজুয়েট’ পড়া যাঁরা শেষ করেছেন তাঁদের মধ্যে থেকে নম্বরের ভিত্তিতে অগ্রাধিকার মিলবে। ৬০ শতাংশ নম্বর পেলেই যে কেউ অনলাইনে এর জন্য আবেদন করতে পারবেন। বয়সীমা ৪০ বছর পর্যন্ত।