সংবাদ প্রতিদিন ব্যুরো: আগামী সপ্তাহে মালবাজার (Malbazar) সফরে যেতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। দশমীর বিসর্জনে মাল নদীতে যে বিপর্যয়ের ঘটনা ঘটেছে, তারই রেশ ধরে অসহায় পরিবারগুলির পাশে দাঁড়াতে মুখ্যমন্ত্রীর এই সফর বলে মনে করা হচ্ছে। হড়পা বানে নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে পারেন তিনি। ১৭ অক্টোবর তাঁর সেখানে যাওয়ার কথা। মালবাজারের ওই পরিবারগুলির সঙ্গে দেখা করার পর ১৮ তারিখ প্রশাসনিক বৈঠক করতে পারেন। তার পরেরদিন অর্থাৎ ১৯ তারিখ শিলিগুড়িতে (Siliguri) আসবেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে বিজয়া সম্মিলনীতে যোগ দেবেন বলে খবর।তবে এখনও পর্যন্ত ১৯ তারিখের কর্মসূচি ছাড়া মুখ্যমন্ত্রীর সফরসূচি জেলা প্রশাসনের তরফে নিশ্চিত করা হয়নি।
গত ৫ অক্টোবর, দশমীর (Dashami) বিসর্জনের সময়েই মালবাজারের নেমে এসেছিল শোকের ছায়া। মাল নদীতে বিসর্জনের সময় আচমকা হড়পা বানে তলিয়ে মৃত্যু হয় ৮ জনের। এই বিপর্যয়ের পর কেটে গিয়েছে একটা সপ্তাহ। শহরে এই মর্মান্তিক ঘটনার পর অনেকেই শোকগ্রস্ত। এইরকম পরিবেশে বৃহস্পতিবার প্রশাসনের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের একটি দল মালবাজার ব্লকের বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করে। দলে ছিলেন জলপাইগুড়ি জেলা শাসক মৌমিতা গোদারা বসু, জেলা পুলিশ সুপার দেবর্ষি দত্ত, মাল মহকুমা শাসক পীযুষ ভাগনরাও সালুংখে। তাঁদের পরিদর্শনের ধরন দেখে অনুমান করা হয়েছিল, ভিভিআইপি (VVIP) কেউ শহরে আসতে পারেন।
[আরও পড়ুন: ভূমিপুত্র না হলে মিলবে না ভোটাধিকার, বিতর্কিত নির্দেশ প্রত্যাহার কাশ্মীর প্রশাসনের]
প্রশাসনিক তৎপরতা ও নিবিড় পরিদর্শনের ধরন দেখে স্থানীয় মহলে ধারণা, হয়ত ভাসান বিপর্যয়ের পর মানুষের পাশে থাকতে হয়তো রাজ্যের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী শহরে আসতে পারেন। যদিও প্রতিনিধি দলের জেলা শাসক বা জেলা পুলিশ সুপার এখনই এ নিয়ে মুখ খুলতে চাননি। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী ১৭ অক্টোবর বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকে সড়কপথে মালবাজার শহরে যেতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। মালবাজারে প্রশাসনিক বৈঠক রয়েছে। মাল নদীতে দশমীর ভাসানের সময় হড়পা বানে নিহতদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করতে পারেন তিনি।
[আরও পড়ুন: ‘কাশ্মীর সমস্যার জন্য দায়ী নেহরু’, শাহর মন্তব্যের প্রতিবাদে ‘মিথ্যের সুপার স্প্রেডার’ বলল কংগ্রেস]
এরপর ১৯ তারিখ শিলিগুড়িতে উত্তরবঙ্গের বিজয়া সম্মিলনী। কলকাতার ইকো পার্কে (Eco Park) যেভাবে বিশিষ্টদের নিয়ে বিজয়া দশমীর অনুষ্ঠান হয়েছিল, সেভাবেই উত্তরবঙ্গের সম্মেলন হবে শিলিগুড়িতে।