shono
Advertisement

গোবিন্দভোগ চাল রপ্তানিতে ২০ শতাংশ শুল্ক বৃদ্ধি কেন্দ্রের, প্রতিবাদে মোদিকে চিঠি মমতার

শুল্ক বাড়ায় সমস্যায় পড়ছেন রাজ্যের কৃষকরা, দাবি মুখ্যমন্ত্রীর।
Posted: 10:14 AM Nov 03, 2022Updated: 10:14 AM Nov 03, 2022

স্টাফ রিপোর্টার: গোবিন্দভোগ চাল রপ্তানিতে ২০ শতাংশ শুল্ক বাড়িয়েছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। তাতে উৎপাদিত ধান বিক্রির ক্ষেত্রে প্রভাব পড়ছে। দাম বাড়ায় বিদেশে চাহিদা কমছে এই চালের। বিদেশে রপ্তানির ক্ষেত্রে এই শুল্ক ছাড়ের আবেদন করে চিঠি লিখে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) হস্তক্ষেপ দাবি করলেন মুখ‌্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

Advertisement

চলতি বছরের ৮ সেপ্টেম্বর থেকে গোবিন্দভোগ চালের উপর ২০ শতাংশ আবগারি শুল্ক চাপিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। অথচ গোবিন্দভোগের মতো আরেকটি সুগন্ধী চাল বাসমতির ক্ষেত্রে ২০ শতাংশ শুল্ক কমিয়ে দিয়েছে। ফলে দুই চালের দামে বিস্তর ফারাক হয়ে দাঁড়াচ্ছে। যার জেরে বিদেশে এই চাল রপ্তানিতে মার খাচ্ছে রাজ্য সরকার। সমস্যায় পড়ছেন রাজ্যের কৃষকরা। যা নিয়ে উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রী।

[আরও পড়ুন: রাজ্যে নভেম্বর বা ডিসেম্বরে অশান্তির আশঙ্কা, মন্ত্রিসভার বৈঠকে সতর্কবার্তা মুখ্যমন্ত্রীর]

বৃহস্পতিবারই চিঠিটি লেখেন মমতা (Mamata Banerjee)। ইতিপূর্বে বাসমতি চাল রপ্তানিতে ২০ শতাংশ শুল্ক কমিয়েছে কেন্দ্র। সেই উদ্যোগের প্রশংসা করে মমতা জানিয়েছেন, দেশ ছাড়াও বিদেশের মাটিতে শুদ্ধ এই সুগন্ধী গোবিন্দভোগ (Gobindo Bhog) চালের চাহিদা অঢেল। এভাবে কেন্দ্র শুল্ক চাপানোয় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে তার প্রভাব পড়ছে। প্রধানমন্ত্রীকে দেওয়া চিঠিতে মুখ‌্যমন্ত্রী লিখেছেন, ‘গোবিন্দভোগ চাল খুব জনপ্রিয়। ঈশ্বর আরাধনার ক্ষেত্রেও এর বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। তার জিআই (GI) শংসাপত্রও পেয়েছে বাংলা। রাজ্যের বিভিন্ন অংশে এই চালের ধান উৎপাদন হয়। আরব, কাতার, ওমান, বাহরিন, কুয়েতের মতো উপসাগরীয় দেশে এর ভাল চাহিদা আছে। উৎপাদনের পাশাপাশি এর রপ্তানিতেও রাজ‌্য সরকার বিশেষ উৎসাহ দেয়। কিন্তু সেই পথেই সমস‌্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে ২০ শতাংশ এই শুল্ক বৃদ্ধি।’

[আরও পড়ুন: ‘খুশি করলেই চাকরি পাবি’, তরুণীকে কুপ্রস্তাব! বিতর্কে দাঁইহাট পুরসভার চেয়ারম্যান]

এই সমস‌্যা সরাসরি কৃষকদের উপর প্রভাব ফেলছে বলে মমতা লিখেছেন, ‘ব‌্যবসায়ী থেকে সরাসরি কৃষকদের উপর নানাভাবে এর প্রভাব পড়ছে। ব‌্যবসায়ীরা ক্ষতির মুখে পড়ছেন। উৎপাদন আর শ্রম অনুযায়ী চাষিদের কোনও লাভই হচ্ছে না। প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমার অনুরোধ, গোবিন্দভোগ চালের রপ্তানির উপর এই বর্ধিত শুল্ক ছাড় দিতে দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করুন।’ মমতার দাবি, চাহিদা সত্ত্বেও আবগারি শুল্কের জেরে এর ব্যবসা মার খাচ্ছে। ফলে ভুক্তভোগী হচ্ছেন কৃষকেরা।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement