সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: 'পুরানো সেই দিনের কথা' মনে রেখে কী লাভ! গৌতম গম্ভীর-বিরাট কোহলিও মনে রাখেননি। তিক্ততার অতীত ভুলে তাঁরা আজ কাছাকাছি। হবেন না-ই বা কেন, এখন তো আর আগের মতো ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের আকচাআকচি নেই। এখন দুজনেই দেশের সৈনিক। একই ড্রেসিংরুম শেয়ার করেন। দুজনের উদ্দেশ্য একই, যে কোনও মূল্যে দেশকে জেতানো। তাই যাবতীয় তিক্ততা ভুলে 'চরম প্রতিপক্ষ'কে আলিঙ্গনে লজ্জা কীসের।
তাঁদের সম্পর্ক নিয়ে বহু কানাঘুষো, বহু লেখালেখি। বিরাট কোহলি (Virat Kohli) এবং গৌতম গম্ভীর (Gautam Gambhir) নাকি একে অপরকে সহ্য করতে পারেন না! আইপিএলের সময় প্রকাশ্যে দেখা গিয়েছে বিরাট-গম্ভীরের ঝামেলা। বিভিন্ন সময়ে একে অপরকে সমালোচনা করে মন্তব্যও করেছেন ভারতীয় ক্রিকেটের দুই মহারথী। কিন্তু রবিবার পারথে বিরাট যখন ঝকঝকে সেঞ্চুরিটা করে ড্রেসিংরুমে ফিরলেন, তখন সবার আগে এগিয়ে এলেন কোচ গম্ভীরই। চরম আবেগে জড়িয়ে ধরলেন তাঁর বিশ্বস্ত লেফটেন্যান্টকে। অস্ফুটে যেন তিনি বলে উঠলেন, 'আয় আরও বেঁধে বেঁধে থাকি।'
আর গম্ভীর কেনই বা জড়িয়ে ধরবেন না বিরাটকে। পারথে তাঁর সেঞ্চুরির ইনিংস শুধু যে ভারতকে জয়ের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিয়েছে, তাই নয়। একই সঙ্গে সিরিজের পরবর্তী ম্যাচগুলির আগে অজি মনে ভীতির সঞ্চারও করে দিয়েছে। এই সেঞ্চুরির গুরুত্ব গম্ভীর বোঝেন। এটাও বোঝেন, এই সেঞ্চুরির জন্য বিরাটকে কতটা পরিশ্রম করতে হয়েছে। হয়তো সেজন্যই সামান্য পিঠ চাপড়ে দিলেন কোচ।
গম্ভীর আর কোহলি একে অপরের দিকে ধেয়ে আসছেন, আইপিএলে সে দৃশ্য একাধিকবার দেখা গিয়েছে। আসলে দুজন মুখোমুখি হওয়া মানেই ক্রিকেট মাঠে পারদ চড়ত। কিন্তু দেশের প্রতি দায়বদ্ধতা সেই দূরত্ব ঘুচিয়ে দিয়ছে। তিক্ততার অতীত ভুলে এগিয়ে যাওয়ার বার্তা বহুবার শোনা গিয়েছে গম্ভীরের (Gautam Gambhir) মুখে। গম্ভীর বলেন, “এগুলো টিআরপি-র জন্য ভালো। আমার সঙ্গে বিরাটের কী কথা হয়, সেটা একবারেই ব্যক্তিগত। কখনই প্রকাশ্যে আনিনি সেটা। দুজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের সম্পর্ক যেরকম হতে পারে, আমাদের সম্পর্কও সেরকমই। মাঠে আমরা একই মানসিকতা নিয়ে নামি। আমাদের মধ্যে সম্পর্ক খুবই ভালো।” বিরাটও বলছেন, "মিডিয়ায় যা লেখালেখি হয়, সবটা মশলার জন্য ভালো। কিন্তু আমাদের সম্পর্ক অন্যরকম।" সেগুলো যে শুধু মুখের কথা ছিল না সেটা আবারও প্রমাণ হয়ে গেল।