শেখর চন্দ, আসানসোল: কয়লা কাণ্ডে ধৃত লালা ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীদের মধ্যে ৩ জনকে ৭ দিন ও জয়দেব মণ্ডলকে চারদিন সিবিআই (CBI) হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অক্টোবরের শুরুতে ফের আদালতে তোলা হবে তাঁদের।
বেশ কয়েকমাস ধরেই কয়লা কাণ্ডের (Coal Scam) তদন্তে নড়েচড়ে বসেছে সিবিআই। কলকাতা, বাঁকুড়া, আসানসোল-সহ বহু জায়গায় তল্লাশি চালান তদন্তকারীরা। সোমবার গ্রেপ্তার করা হয় নারায়ণ নন্দা, গুরুপদ মাজি, নিরোদ মণ্ডল ও জয়দেব মণ্ডলকে। মঙ্গলবার কড়া নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে আসানসোল বিশেষ সিবিআই আদালতে আনা হয় কয়লা কাণ্ডে জড়িত ৪ কুখ্যাত কয়লা মাফিয়াকে। বেলা ১২ টা নাগাদ আদালতে তোলা হয় ধৃতদের। সিবিআই ও অভিযুক্তদের আইনজীবীদের কথা শোনার পর বিচারক জয়শ্রী বন্দ্যোপাধ্যায় জয়দেব মণ্ডলকে চারদিন ও বাকিদের সাতদিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দেন।
[আরও পড়ুন: কয়লা কাণ্ডে প্রথম গ্রেপ্তারি সিবিআইয়ের, ধৃত লালা ঘনিষ্ঠ ৪ ব্যবসায়ী]
অভিযুক্তদের আইনজীবী শেখর কুণ্ডুর দাবি, তাঁর মক্কেলরা ডাক পেলেই সিবিআই দপ্তরে হাজিরা দিয়েছেন। সিবিআইকে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করছেন। তা সত্ত্বেও সিবিআই গ্রেপ্তার করেছে জয়দেবদের। জানা গিয়েছে, আগামী ১ অক্টোবর জয়দেবকে তোলা হবে আদালতে। বাকিদের ফের আদালতে পেশ করা হবে আগামী মাসের ৪ তারিখ।
উল্লেখ্য, জয়দেব মণ্ডল আসানসোলের বাসিন্দা। বাম আমলে কয়লা পাচারের গোটা সাম্রাজ্য ছিল জয়দেব মণ্ডলের হাতে। তারপর বাম জমানা শেষ হয়ে যাওয়ায় কিছুটা কোণঠাসা হয়ে পড়েন ওই ব্যবসায়ী। ২০১১ সালে কলকাতার নিউ মার্কেট এলাকা থেকে জয়দেবকে গ্রেপ্তার করে কলকাতা পুলিশের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স। তাঁর কাছ থেকে বেশ কিছু হাতিয়ারও বাজেয়াপ্ত করা হয়। তারপর জামিনে মুক্তি পেয়ে যান তিনি। নারায়ণ নন্দা রানিগঞ্জের বাসিন্দা। সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্তান তিনি। কয়লা ও ট্রান্সপোর্টের ব্যবসা করতেন। পরবর্তীতে কয়লা পাচারে নাম জড়ায় তাঁর। নিরোদ মণ্ডল বাঁকুড়ার বাসিন্দা। ছোট থেকে কয়লার ব্যবসায় যুক্ত ছিলেন। পেট্রোল পাম্পে কাজ করতেন। পরবর্তীতে পাম্পের মালিক হন তিনি। পুরুলিয়ার বাসিন্দা গুরুপদ মাজিও দীর্ঘদিন ধরে কয়লা ব্যবসায় জড়িত। একটি মামলায় নাম জড়িয়েছিল তাঁর।