শুভঙ্কর বসু: কয়লা পাচার কাণ্ডে (Coal Scam) অন্যতম অভিযুক্ত অনুপ মাঝি ওরফে লালার নিরাপত্তার আবেদন খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। বুধবার লালার নিরাপত্তা চেয়ে বিচারপতি রাজেশ বিনদালের ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন জানান তার আইনজীবী সিদ্ধার্থ লুথরা। সেই আবেদন খারিজ করার পাশাপাশি আদালত জানিয়েছে, কোনও বৃহত্তর অপরাধের ক্ষেত্রে তদন্তের ব্যপ্তিও বৃহত্তর হয়।
দিন কয়েক আগে CBI তদন্তের এক্তিয়ারের প্রশ্নে লালার দায়ের করা মামলায় বিচারপতি সব্যাসাচী ভট্টাচার্যর সিঙ্গল বেঞ্চ রায়ে জানিয়েছিল, রেলের এক্তিয়ারভুক্ত নয় এমন জায়গায় তদন্ত করতে গেলে রাজ্যের সহযোগিতা নিয়ে যৌথভাবে তা করতে হবে সিবিআইকে। এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এদিন সেই মামলার শুনানি পর্ব শেষ হয়েছে। ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, দ্রুত মামলার রায় দান হবে।
[আরও পড়ুন: জোট বৈঠকের আগে মান্নানের সাক্ষাৎ এড়ালেন আব্বাস সিদ্দিকি! নয়া জল্পনা রাজনৈতিক মহলে]
এদিন মামলার শুনানিতে রাজ্যের বক্তব্য উদ্ধৃত করে মন্তব্য করে আদালত। আগে রাজ্যের বক্তব্য ছিল যে রাজ্যের আওতাভুক্ত এলাকায় তদন্ত করতে পারবে না রেল। ধরা যাক, রেলের এলাকায় কোনও অপরাধ সংঘটিত হয়েছে এবং অপরাধীরা রেলের এলাকা ছেড়ে বাইরে পালিয়ে এসেছে, সেক্ষেত্রে রেলের এলাকায় অপরাধ সংঘটিত হয়েছে বলে রাজ্য কি তদন্ত করবে না? আর অপরাধী রেলের এলাকার বাইরে রয়েছে বলে কি আরপিএফের তদন্তের এক্তিয়ার নেই? আদালতের এই প্রশ্নের উত্তরে রাজ্য জানায়, কী ধরনের অপরাধ সংঘটিত হয়েছে তার ভিত্তিতে তদন্ত করতে হবে। ডিভিশন বেঞ্চ তখন জানিয়ে দেয়, শুধুমাত্র অনুমানের উপর ভিত্তি করে তদন্ত হয় না। বৃহত্তর অপরাধের ক্ষেত্রে তদন্তের ব্যপ্তিও বৃহত্তর হয়।
তার মক্কেলের নিরাপত্তার আবেদন জানানোর পাশাপাশি এদিন সিদ্ধার্থ লুথরা বলেন, রেল কোনও না কোনও রাজ্যের জায়গার অন্তর্ভুক্ত। সেক্ষেত্রে অপরাধ সংঘটিত হওয়ার জায়গা নিয়ে বিভ্রান্তি হলে তদন্তের অগ্রাধিকার রাজ্যের। সিবিআইয়ের তরফে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা বলেন, কোন সংস্থা তদন্ত করবে সেটা অপরাধী ঠিক করে দিতে পারে না। কয়েক বছর ধরে এই অপরাধ সংঘটিত হয়ে চলেছে। তাই এক্ষেত্রে তদন্তের জন্য রাজ্যের সাধারণ সম্মতির প্রয়োজন নেই। সব পক্ষের বক্তব্য শোনার পরে এদিন রায়দান স্থগিত রেখেছে ডিভিশন বেঞ্চ।