সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কয়লা ও গরু পাচার কাণ্ডে দ্রুতগতিতে তদন্ত চালাচ্ছে সিবিআই (CBI)। ভারত ও বাংলাদেশে ছড়িয়ে থাকা এই চক্রের চাঁইদের জালে পুরতে তৎপর হয়েছেন গোয়েন্দারা। এবার পাচারচক্রের অন্যতম পাণ্ডা বিনয় মিশ্রর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতে আবেদন জানিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি।
[আরও পড়ুন: পেটের দায়ে যোগীরাজ্যে কাজে যাওয়াই কাল হল, দুর্ঘটনায় মৃত্যু মালদহের দুই শ্রমিকের]
সিবিআই সূত্রে খবর, কয়লা পাচারের টাকায় বিশাল সম্পত্তি জুটিয়েছে পলাতক বিনয় মিশ্র। একক মালিকানা ছাড়াও, এখনও বেশ কিছু জমি, বাড়ি, অফিসের শেয়ার তাঁর নামে রয়েছে। বিশেষ আদালতের অনুমতি পেলে, সেই সব সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার প্রক্রিয়া শুরু করবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এর আগে বিনয়ের সন্ধান পেতে সিবিআইয়ের আবেদনের ভিত্তিতে রেড কর্নার নোটিসও জারি করেছে ইন্টারপোল। এর আগে, কয়লাকাণ্ডে অনুপ মাঝি ওরফে লালার জমি, বাড়ির মতো স্থাবর সম্পত্তি দখল করার প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করে সিবিআই। উল্লেখ্য, কলকাতার রাসবিহারী এলাকায় পলাতক বিনয় মিশ্রর একটি বাড়ি বাজেয়াপ্ত করে ইডি। প্রায় ৩ কোটি টাকা দিয়ে কেনা হয়েছিল বাড়িটি। গোয়েন্দাদের নজর এড়াতে নিজের নাম না জড়িয়ে অনন্ত ট্রেড কম নামের একটি সংস্থার নামে বাড়িটি রেজিস্টার করা হয়েছে বলে জানা যায়। উল্লেখ্য, গরু পাচার কাণ্ডে ইডি’র সঙ্গে সমান্তরাল তদন্ত চালাচ্ছে সিবিআই। গত ফেব্রুয়ারি মাসে আসানসোলে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে সাপলিমেন্টারি চার্জশিট জমা দেয় সিবিআই। এর আগে আদালতে জমা দেওয়া প্রথম চার্জশিটে গরু পাচার কাণ্ডে এনামুল হক ও বিএসএফ আধিকারিক সতীশ কুমারের নাম ছিল। সূত্রের খবর, গরু পাচারচক্রের মূল পাণ্ডা এনামুল হকের থেকে টাকা নিয়ে প্রভাবশালী রাজনৈতিক দলের একাংশ নেতার কাছে পৌঁছে দিতেন বিনয় মিশ্র বলে অভিযোগ সিবিআইয়ের।
এদিকে, কয়লা পাচার কাণ্ডে আবারও স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলল অনুপ মাঝি ওরফে লালা। একেবারে জুলাই মাস পর্যন্ত তাঁর রক্ষাকবচ বাড়িয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট। অর্থাৎ জুলাই পর্যন্ত তাঁকে গ্রেপ্তার করতে পারবে না সিবিআই। আর জুলাই মাসের দ্বিতীয় বা তৃতীয় সপ্তাহে ফের এই মামলার শুনানি হবে দেশের সর্বোচ্চ আদালতে। ততদিন সিবিআইয়ের নাগালের বাইরেই থাকছেন লালা।