সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: দুর্যোগের মাঝে ট্রলার নিয়ে মাছ ধরতে বেরিয়ে বঙ্গোপসাগরে মহা বিপদের মুখে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ৪৯ জন মৎস্যজীবী। রবিবার রাতভর তাঁদের কোনও খোঁজ মেলেনি। সোমবার দুপুর পর্যন্তও নিখোঁজের খোঁজে তল্লাশি চালিয়েও হতাশাই প্রাপ্তি। কারও কোনও খোঁজই মিলছে না। উপকূল রক্ষী বাহিনীর তরফে দুটি জাহাজ এবং একটি এয়ারক্রাফট নিয়ে তল্লাশি হলেও, তাতে ভরসা করতে পারছেন না অন্যান্য মৎস্যজীবীরা। আর তাই সতীর্থদের খোঁজ করতে সোমবার ভোরে নিজেদের ট্রলার নিয়ে ঝোড়ো সমুদ্রে পাড়ি দিয়েছেন ডায়মন্ড হারবার ও কাকদ্বীপের একদল মৎস্যজীবী। উদ্বেগ বাড়ছে নিখোঁজদের পরিবারেরও।
গত মঙ্গলবার সুলতানপুর মৎস্য বন্দর থেকে মাছ ধরতে গভীর সমুদ্রের উদ্দেশে ডায়মন্ড হারবার ও কাকদ্বীপ থেকে রওনা দিয়েছিল মৎস্যজীবীদের একটি দল। রবিবার দুর্যোগের মাঝে পড়ে তিনটি ট্রলার নিখোঁজ হয়ে যান ৪৯ জন মৎস্যজীবী। হদিশ মেলেনি তিনটি ট্রলারেরও। সেসব ঠিক কোথায় রয়েছে, সেই লোকেশন এখনও পর্যন্ত জানে না প্রশাসন। কারণ হিসাবে জানা গিয়েছে বজ্রপাতের ফলে তাঁদের সঙ্গে থাকা ওয়ারলেস বিকল হয়ে পড়েছে। ট্রলারের ইঞ্জিন খারাপ হয়ে গিয়েছে। নিখোঁজ ট্রলারের মৎস্যজীবীদের বাড়ি বেশিরভাগ ক্যানিং ও কাকদ্বীপ মহকুমা এলাকায়। এই মুহূর্তে কাকদ্বীপের নিখোঁজ হওয়া মৎস্যজীবী পরিবার চরম উদ্বেগে। তাঁরা বলছেন, ঈশ্বরের উপর এখন প্রিয়জনদের জীবন সঁপে দিতে হচ্ছে। ভিড় করছেন ট্রলার মালিকের বাড়ির কাছে।
ডায়মন্ড হারবারের মৎস্য দপ্তরের এডিএফ, মেরিন সুরজিৎকুমার বাগ জানান, উপকূলরক্ষী বাহিনী ২টি জাহাজ ও একটি এয়ারক্রাফট নিয়ে বঙ্গোপসাগর জুড়ে তল্লাশি হচ্ছে। কিন্তু একজনেরও খোঁজ মেলেনি এখনও। আপাতত নিখোঁজ ট্রলারগুলির লোকেশন জানাই তাদের মূল লক্ষ্য। তবে এতজনের খোঁজ না পাওয়া গেলে তা চরম দুশ্চিন্তার বিষয় হতে চলেছে বলে আশঙ্কা প্রশাসনের।