সুকুমার সরকার, ঢাকা: এবার ‘আগুন সন্ত্রাস’ শিক্ষাঙ্গনেও! দুষ্কৃতীদের নিশানায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। বুধবার রাতে পরপর চারটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয় স্যার এ এফ রহমান হলের সামনে। তবে এই ঘটনায় হতাহতের কোনও খবর মেলেনি। কারা এই কাণ্ড ঘটিয়েছে তা এখনও জানা যায়নি। তবে অভিযোগের আঙুল উঠছে বিএনপির দিকেই। গত মাস দেড়েক ধরে তাদের ‘আগুন সস্ত্রাসে’ পুড়ছে ভোটমুখী বাংলাদেশ।
জানা গিয়েছে, বুধবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এই ঘটনা ঘটে। রাত পৌনে ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তি ও গণতন্ত্র তোরণ থেকে টিএসসি অভিমুখী রাস্তার নীলক্ষেত পুলিশ ফাঁড়ি ও স্যার এ এফ হলের মধ্যবর্তী অংশে একটি মোটরসাইকেল থেকে ককটেল বোমাগুলো ছোড়া হয়। এর আগে গত ১৫ ও ১৮ নভেম্বর ক্যাম্পাসের টিএসসি ও স্মৃতি চিরন্তন চত্বরে ৫টি ও ৩টি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছিল।
[আরও পড়ুন: নির্বাচনী ইস্তেহার প্রকাশ আওয়ামি লিগের, কোন কোন বিষয় পেল অগ্রাধিকার?]
এই ঘটনার একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, রাতে স্যার এ এফ রহমান হলের সামনের রাস্তার বিপরীত লেন থেকে পরপর চারটি ককটেল বোমা ছুড়ে মারা হয়। বিকট শব্দে সেগুলো ফেটে যায়। ককটেলের ধোঁয়ায় কিছুক্ষণের জন্য চারপাশ অন্ধকার হয়ে যায়। ককটেল বোমা ছোড়া ব্যক্তিরা দ্রুত নিউমার্কেটের দিকে চলে যায়। এই বিষয়ে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহম্মদ মোস্তাজিরুর রহমান জানান, এ এফ রহমান হলের সামনের ফাঁকা রাস্তায় বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। যারা এই কাণ্ড ঘটিয়েছে তাদের এখনও শনাক্ত করা যায়নি। এনিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মহম্মদ মাকসুদুর রহমান বলেন, যারা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে, তাদের শনাক্ত করতে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পর্যালোচনা করা হবে।
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই দেশের আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যরা জানিয়েছিলেন, বাংলাদেশে গত মাস দেড়েক ধরে তাণ্ডব চালাচ্ছে প্রধান বিরোধীদল বিএনপি। তাদের দোসর ইসলামপন্থী দল জামাত। এখনও পর্যন্ত অন্তত ৩৭৭টি বাসে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। আর এই কাজ করার জন্য হামলাকারীদের দেওয়া হত ৫ হাজার টাকা। গত ২৮ অক্টোবর ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশ পণ্ডের পরদিন থেকে গোটা দেশে অবরোধ কর্মসূচির ডাক দেয় বিএনপি-জামাত-সহ সমমনা ‘মৌলবাদী’ দলগুলো। তার পর থেকেই জারি রয়েছে আগুন সন্ত্রাস।