নন্দন দত্ত, সিউড়ি: বাগুইআটি কাণ্ডে ছায়া বীরভূমে (Birbhum)! ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়াকে অপহরণ করে খুনের অভিযোগ বন্ধুর বিরুদ্ধে। যুবকের মৃত্যুর পর তাঁর বাবাকে ফোন করে ৩০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ চাওয়া হয়। তবে এবার আর গাফিলতি নয়। পুলিশের তৎপরতায় ২৪ ঘণ্টা কাটার আগেই আটক করা হয়েছে অভিযুক্তকে।
মৃতের নাম সালাউদ্দিন শেখ। দুর্গাপুরের ইঞ্জিয়ানিয়ারিং কলেজের তৃতীয় বর্ষের পড়ুয়া। সালাউদ্দিনের বাবা মল্লারপুরের পাথর ব্যবসায়ী। শনিবার রাত ১২টা নাগাদ সালাউদ্দিনের বাবার কাছে একটি ফোন আসে। ৩০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ চাওয়া হয়। নয়তো ছেলেকে খুন করার হুমকিও দেয় আততায়ী। সঙ্গে সঙ্গে ইলামবাজার থানায় ফোন করে বিষয়টি জানান সালাউনদ্দিনের বাবা। উড়ো ফোনের টাওয়ার লোকেশন ধরে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। দেখা যায়, সালাউদ্দিন এবং হুমকি ফোনের টাওয়ার লোকেশন একই। ফোনের মালিকের নাম শেখ সলমন। সালাউদ্দিনেরই বন্ধু। টাওয়ার লোকশনের সূত্র ধরে আসানসোল এলাকা থেকে অভিযুক্তকে আটক করা হয়। তখনও অবশ্য দেহ উদ্ধার হয়নি।
[আরও পড়ুন: মুর্শিদাবাদের কোথায় কোথায় যেতেন শুভেন্দু? গরুপাচার মামলায় পুলিশের কাছে তথ্য তলব CID’র]
টাওয়ার লোকেশন ট্র্যাক করতেই দেখা যান, সালাউদ্দিনের ফোন রয়েছে ইলামবাজার চৌপাহাড়িয়া জঙ্গল এলাকায়। খবর যায় বনদপ্তরে। চিরুণি তল্লাশি চালিয়ে জঙ্গলের ভিতর থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় সালাউদ্দির দেহ উদ্ধার হয়। সঙ্গে সঙ্গে সিয়ান হাসপাতালে দেহ নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। দেহ উদ্ধারের কিছুটা দূর থেকে মেলে একটি বাইক। সেখানে কিছু মাদক দ্রব্য মিলেছে। পুলিশের ধারনা, সালাউদ্দিন এবং সলমন চৌপাহাড়িয়া জঙ্গলে বসে মদ্যপান করেছিল। তারপর ছুরি দিয়ে বন্ধুকে খুন করে সলমন। পরিকল্পিতভাবেই এরপর সালাউদ্দিনের বাবাকে ফোন করে ৩০ লক্ষ টাকা চায় সে।
রবিবার সকালে বীরভূমের পুলিশ সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠী জানান, বাজার থেকে অনেক টাকা ধার নিয়েছিল সলমন। সেই টাকা শোধ করতে সালাউদ্দিনের কাছে লক্ষাধিক টাকা চেয়েছিল সে। কিন্তু সালাউদ্দিনের বাবা সেই টাকা দিতে না চাওয়ায় ছেলেকে অপহরণের নাটক করা হয়। পরে তাঁকে খুন করে সলমন। নিজেদের হেফাজতে নিয়ে অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।