সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মাত্র কয়েক বছরের মধ্যে হারিয়ে গিয়েছে দাম্পত্য সম্পর্কের উষ্ণতা। অশান্তি করেই দিন কাটত স্বামী-স্ত্রী। কথা কাটাকাটি হত, তবে তাতে আমল দিতেন না স্ত্রী। মারধর যেন সহ্য হচ্ছিল না। একসময় বেঁচে থাকার ইচ্ছাও হারিয়েছিলেন তিনি। তাই ঝাঁপ দিয়েছিলেন মাঝসমুদ্রে (Sea)। কিন্তু কথায় বলে রাখে হরি তো মারে কে? মাঝে দু’বছর আর কোনও খোঁজ ছিল না তাঁর। যদিও ২ বছর পর মাঝসমুদ্রে ভাসমান কলম্বিয়ার ওই মহিলাকে উদ্ধার করেন মৎস্যজীবী। এভাবে বেঁচে ফেরা যায়। মহিলার ফিরে আসার কাহিনি শুনে হতবাক সকলেই।
মহিলা জানান, প্রায় ২০ বছরের দাম্পত্য সম্পর্ক তাঁর। প্রথমবার অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পর থেকেই সম্পর্ক উষ্ণতা হারায়। মারধর শুরু হয়। তাতেও সংসার চলছিল। দ্বিতীয়বার অন্তঃসত্ত্বা হন। অর্থনৈতিক দিক থেকে কোনও সঙ্গতি নেই। তার উপর আবার দু’টি সন্তান। তাই স্বামীকে ছেড়ে চলে আসতে পারেননি কখনই। বাধ্য হয়ে একবার পুলিশের দ্বারস্থ হন তিনি। তবে থানা থেকে ছাড়া পাওয়ার পর অত্যাচার আরও বাড়ে। মারধর করে হাত-পা ভেঙে দেওয়া হয় মহিলার। সাংসারিক অশান্তি সহ্য করতে না পেরে সমুদ্রে ঝাঁপ দেন ওই মহিলা। মাঝে কেটে যায় দু’টি বছর। মাঝে কী হয়েছিল, তা ওই মহিলার নিজেরও অজানা।
[আরও পড়ুন: OMG! সামাজিক দূরত্ব মেনেই কনের গায়ে হলুদ, পরিবারের বুদ্ধির প্রশংসায় নেটিজেনরা]
ইতিমধ্যেই এক মৎস্যজীবী এবং তাঁর বন্ধুবান্ধবরা দেখেন একজন মাঝসমুদ্রে ভেসে যাচ্ছেন। তাঁরাই তৎপরতার সঙ্গে ওই মহিলাকে উদ্ধার করেন। মহিলা উদ্ধারের পরই নিজের দাম্পত্য অশান্তির কথা জানান। তবে মাঝের দু’বছর যে কী হয়েছিল তা আর তিনি খেয়াল করতে পারছেন না। এরপর মহিলার বোনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। আপাতত তাঁর কাছেই রয়েছেন ওই মহিলা।
[আরও পড়ুন: ‘স্ত্রীর সঙ্গে আর থাকতে পারব না’, গৃহত্যাগী হয়ে মোবাইল টাওয়ারে উঠে পড়লেন ক্ষুব্ধ স্বামী!]
The post রাখে হরি তো মারে কে? সমুদ্রে ঝাঁপ দেওয়ার ২ বছর পর জীবিত অবস্থায় উদ্ধার মহিলা appeared first on Sangbad Pratidin.