সুমন করাতি, হুগলি: পুলিশ আধিকারিকের বদলিতে বন্ধের মুখে চাকরির পরীক্ষার কোচিং। চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের দ্বারস্থ পড়ুয়ারা। স্মারকলিপি পেশ করলেন তাঁরা। পড়ুয়াদের পাশে থাকার আশ্বাস বৈদ্যবাটি পুরসভার চেয়ারম্যান পিন্টু মাহাতোর। পরবর্তী অফিসার কোচিংটি দেখভাল করবেন বলেই জানিয়েছেন চন্দননগর পুলিশ কমিশনার অমিত পি জাভালগি।
জানা গিয়েছে, চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের শ্রীরামপুর থানার অন্তর্গত শেওড়াফুলি ফাঁড়ির উদ্যোগে ও বৈদ্যবাটি পুরসভার সহযোগিতায় চলছিল চাকরি পরীক্ষার জন্য ফ্রি কোচিং সেন্টার। গত বছর নভেম্বর মাসের ৭ তারিখ থেকে শুরু হয়েছে এই কোচিং। আর্থিক দিক থেকে পিছিয়ে পড়া ছেলেমেয়েদের নিয়েই চলছিল। প্রতি রবিবার শেওড়াফুলি সুরেন্দ্রনাথ স্কুলে চলত ক্লাস। বর্তমানে ৭০ জন ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে সেখানে। পড়ুয়াদের নিজে পড়ানোর পাশাপাশি তাঁদের সব রকম সাহায্য করতেন শেওড়াফুলি ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক রঞ্জন দাস। সম্প্রতি চন্দননগর কমিশনারেটের অফিসারদের রদ বদল হয়। শেওড়াফুলি ফাঁড়ির ওফিসার রঞ্জনকে বদলি করা হয় চুঁচুড়ায়। আর তাতেই কোচিং সেন্টারের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন দেখা দেয়।
[আরও পড়ুন: ছাত্রের কানমলা দিলে ওঠবোস করানোর শাস্তি! স্কুলে ঢুকে শিক্ষকদের মার পরিবারের]
এরপরই পড়ুয়ারা চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের এ সি পি ২ (শ্রীরামপুর)-এর কাছে স্মারকলিপি জমা দিয়ে আবেদন করলেন, যাতে প্রস্তুতি কেন্দ্রটি বন্ধ না হয়। তাঁদের দাবি, “রঞ্জনবাবুই যেন কোচিং সেন্টারটি দেখেন। এবিষয়ে বৈদ্যবাটি পুরসভার চেয়ারম্যান পিন্টু মাহাত বলেন, মাধ্যমিক পাশ ছেলে মেয়েরা চাকরির কোচিং নিত। আমি ব্যাক্তিগতভাবে শিক্ষকের বেতনটা দেখতাম। গোটা ব্যবস্থাটাই রঞ্জন করতেন। কয়েকজন চাকরিও পেয়েছে এখান থেকে। আমি বিধায়ক ও পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে কথা বলব যাতে কোচিং সেন্টারটা চলে।” চন্দননগর পুলিশ কমিশনার অমিত পি জাভালগি জানিয়েছেন, শেওড়াফুলিতে যে অফিসার যাবেন তিনি দেখবেন কোচিং সেন্টারটি।