সম্যক খান, মেদিনীপুর: একই ইউনিয়নের ছাতার তলায় থাকা দুই সংগঠনের নেতাদের বিরোধ গড়াল থানা পর্যন্ত। অটো ইউনিয়নের সভাপতি শেখ সিরাজ আলি মেদিনীপুরের বিধায়ক জুন মালিয়ার বিরুদ্ধে কুৎসা করছেন, এই অভিযোগ তুলে তার বিরুদ্ধে কোতয়ালী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করল টোটো ইউনিয়নের সভাপতি বুদ্ধদেব মহাপাত্র। দু’জনেই আবার মূল আইএনটিটিইউসি ইউনিয়নের অনুমোদিত শাখা সংগঠনের নেতা। যদিও অভিযুক্ত অটো ইউনিয়নের নেতা সিরাজবাবু বলেছেন, বিধায়ককে জেতাতে আমরাও প্রাণপাত পরিশ্রম করেছি। কিন্তু শহরের বুকে বেআইনিভাবে ঘুরে চলা টোটোচালকরা যখন প্রকাশ্যে বলতে থাকেন তাদের পেছনে বিধায়ক রয়েছেন, সেই পরিপ্রেক্ষিতেই আমি বলেছি বেআইনী টোটোচালকদের বাড়বাড়ন্তের পেছনে বিধায়কের হয়তো মদত আছে।
গত সোমবার শহরের এলআইসি মোড়ে অটো ও টোটোচালকদের মধ্যে যাত্রী তোলাকে কেন্দ্র করে গণ্ডগোল হয়। তারই রেশ চলতে থাকে সারাদিন ধরে। সেখানেই অটো ইউনিয়নের নেতা বিধায়কের ইন্ধনের অভিযোগ তোলেন। তারই প্রতিবাদে সন্ধেয় টোটো ইউনিয়নের নেতা বুদ্ধদেববাবু ও তার দলবল থানায় গিয়ে অভিযোগ করে দেন। বুদ্ধবাবু বলেছেন, শহরের উন্নয়নে নিরলস কাজ করে চলেছেন জনপ্রিয় তারকা বিধায়ক জুন মালিয়া (June Malia)। শহরে অটো টোটো সমস্যার মাঝে তাকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে দায়ী করা হচ্ছে। এরই বিহিত চাওয়া হয়েছে। দলের ঊর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকেও বিষয়টি জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
[আরও পড়ুন: ‘টিকিট না পেলে বিজেপির কথায় নির্দল হয়ে দাঁড়িয়ে যাবেন না’, কর্মীদের কড়া বার্তা মমতার]
উল্লেখ করা যেতে পারে, বর্তমানে প্রায় পাঁচ হাজার টোটো চলছে মেদিনীপুর শহরে। যার মধ্যে প্রায় ৯০ শতাংশই বেআইনি। গলিতে টোটো চালানোর সরকারি নিয়ম থাকলেও টোটোচালকরা তা মানেন না। সিরাজবাবু বলেছেন, অটো রূটেও টোটো চলছে। ফলে যাত্রী পাচ্ছেন না তারা। গত ২০১৫ সালে একবার শহরে টোটো কীভাবে চলবে তার গাইডলাইনও বেঁধে দেওয়া হয়। প্রতিবছর অটো চালকদের রোড ট্যাক্স বাবদ মোটা টাকা আরটিও দপ্তরে জমা করতে হয়। কিন্তু টোটোদের সেসবের বালাই নেই। অথচ অটোর রূটেই টোটো চলছে। হাজার হাজার টোটো চলায় সারা শহর যানজটের শিকার। প্রশাসনকে বারবার অভিযোগ জানানো সত্বেয় কাজ হয়নি। তাই এবার নতুন করে জোরদার আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারা।