গোবিন্দ রায়: ঝালদা পুরসভা নিয়ে ফের আইনি জট। আগামী ৮ ডিসেম্বর হচ্ছে না আস্থা ভোট। কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার নির্দেশ খারিজ ডিভিশন বেঞ্চে। বিচারপতি অরিজিৎ বন্দোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চের তরফে জানানো হয়েছে, চেয়ারম্যানকে অপসারণের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট পদ্ধতি রয়েছে। সেই পদ্ধতিই অনুসরণ করতে হবে।
ঝালদা পুরসভা নিয়ে আইনি জটিলতা দীর্ঘদিনের। তার মাঝে মাস তিনেক আগে পুরপ্রধান শীলা চট্টোপাধ্যায়-সহ চার কংগ্রেস কাউন্সিলর তৃণমূলে যোগ দেন। দলবদলকারীদের মধ্যে ছিলেন নিহত তপন কান্দুর ভাইপো মিঠুন, বিজয় কান্দু, পিন্টু চন্দ্র ও সোমনাথ কর্মকার। এই দলবদলের পর ঝালদা পুরসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারায় কংগ্রেস। এর পর সেপ্টেম্বরের ১৪ তারিখ পুরসভার উপ পুরপ্রধান পূর্ণিমা কান্দু পদ থেকে ইস্তফা দেন।
[আরও পড়ুন: ‘রাহুল ফোন করেছিল’, ইন্ডিয়া জোটের বৈঠক নিয়ে জানালেন মমতা]
ঝালদা পুরসভার (Jhalda Municipality) চেয়ারপার্সনের অপসারণ চেয়ে গত ২৩ নভেম্বর জোড়া মামলা হয় কলকাতা হাই কোর্টে। বর্তমান পুরপ্রধান শীলা চট্টোপাধ্যায়ের অপসারণ চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন কংগ্রেস কাউন্সিলর পূর্ণিমা কান্দু। তাঁর হয়ে মামলা লড়েছেন কংগ্রেস নেতা তথা আইনজীবী কৌস্তভ বাগচী। একই দাবিতে আরেকটি মামলা দায়ের করেন ৫ তৃণমূল কাউন্সিলরও। দুটি পৃথক মামলা দায়ের হয় হাই কোর্টে।
বিচারপতি অমৃতা সিনহার নির্দেশ, আগামী ৮ ডিসেম্বরের মধ্যে আস্থা ভোট করাতে হবে জেলাশাসকের উপস্থিতিতে। ১২ ডিসেম্বরের মধ্যে আদালতে সমস্ত রিপোর্ট জমা দিতে হবে। তার মাঝে পুরসভা যেমন চলছে, তেমনই চলবে। বুধবার এই নির্দেশ খারিজ করে দেয় বিচারপতি অরিজিৎ বন্দোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ। আগামী ৮ ডিসেম্বর আস্থাভোট হচ্ছে না বলেই জানানো হয়।