রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: সন্দেশখালি কাণ্ডে সরব হয়েছিল বিরোধীরা। সিপিএম, বিজেপি নেতৃত্ব পৌঁছে গিয়েছিল ‘হট স্পটে’। আমজনতার সঙ্গে তাঁরাও প্রশ্ন তুলেছিলেন, কবে গ্রেপ্তার হবেন শেখ শাহজাহান? ৫৪ দিনের মাথায় অবশেষে পুলিশের জালে সন্দেশখালির ‘বাঘ’। কিন্তু এতদিন পর এই গ্রেপ্তারি নিয়ে রাজ্য় পুলিশকে বিঁধলেন রাম-বাং-কংগ্রেস। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সাফ কথা, “পুলিশের সঙ্গে ডিল চূড়ান্ত হতেই সন্দেশখালি বেতাজ বাদশা গ্রেপ্তার হয়েছে।”
এক্স হ্যান্ডেলে বিরোধী দলনেতা লেখেন, “কালকেই বলেছিলাম, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশের নিরাপদ হেফাজতে রয়েছেন সন্দেশখালির শেখ শাহজাহান। এখন তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হচ্ছে। এটা আসলে পারস্পরিক বোঝাপড়া। পুলিশ ও জেল হেফাজতে তিনি কী কী সুবিধা পাবেন, তা নিয়ে ডিলের খুঁটিনাটি চূড়ান্ত হতেই গ্রেপ্তার দেখানো হল।” এদিকে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের দাবি, “বিজেপির লাগাতার আন্দোলনের চাপেই শেষপর্যন্ত শাহজাহানকে গ্রেপ্তার করতে বাধ্য হল রাজ্য পুলিশ। আর কোনও উপায় ছিল না ওদের কাছে।”
[আরও পড়ুন: সংসারে আসছে নতুন সদস্য, তারিখ জানালেন দীপিকা-রণবীর]
তবে এই গ্রেপ্তারির জন্য রাজ্য় পুলিশকে ‘বাহবা’ দিতে একেবারেই রাজি নন বহরমপুরের কংগ্রেস সাংসদ তথা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী। তাঁর কথায়, শাহজাহানকে আলালের ঘর দুলাল করে রেখেছিল রাজ্য পুলিশ। আরও হৃষ্টপুষ্ট করে তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তারির পর তো তাঁকে হোটেলে রাখা হবে।” এই আবহে তৃণমূল সরকারকে উৎখাতেক ডাক দিয়ে বলেন, “মানুষ ধাপ্পাবাজির কাছে মাথা নোয়াবে না। মানুষ এর জবাব দেবে।”
একই সুর শোনা গিয়েছে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলছেন, গ্রেপ্তারিতে পুলিশের অযোগ্য়, অপদার্থতা প্রমাণ হয়ে গেল। শেষমেশ গ্রেপ্তার দেখানো হল। তাঁকে জামাই আদর করে রাখা হয়েছিল। নিরাপত্তা দিয়ে রাখা হয়েছিল। গ্রামের মানুষ সব জানত। তাঁরা বলেছিলেন। এমনকী, রাজ্য পুলিশে ডিজি রাজীব কুমারকেও ‘অযোগ্য’ বলেও কটাক্ষ করলেন সুজন চক্রবর্তী।