সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন বৈধতা নিয়ে মামলা চলছে সুপ্রিম কোর্টে। এই অবস্থায় মুখ্য নির্বাচন কমিশনার বাছাই নিয়ে আপত্তি জানাল কংগ্রেস। যদিও এদিনই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে পরবর্তী মুখ্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের বিষয়ে বৈঠকে করেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা তথা কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। উল্লেখ্য, আগামিকাল মঙ্গলবার মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমারের কার্যকালের শেষ দিন। তার আগে নতুন জটিলতা তৈরি হল।

মোদি-শাহের সঙ্গে বৈঠকের পরে রাহুল জানান, ততক্ষণ বৈঠক হওয়া উচিত নয়, যতক্ষণ না সুপ্রিম কোর্টে মামলার নিষ্পত্তি হচ্ছে। শীর্ষে আদালত সূত্রে খবর, আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ মামলার শুনানি হবে। কেন্দ্র অবশ্য সুপ্রিম সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করতে চাইছে না। যেহেতু আদালতের তরফে নয়া মুখ্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে স্থগিতাদেশও জারি করা হয়নি। অন্যদিকে জানা গিয়েছে, মুখ্য নির্বাচন কমিশনার এবং অন্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ অনুমোদন পত্রে আগামিকালই স্বাক্ষর করবেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু।
যদিও কংগ্রেসের তরফে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, "যখন সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে মামলার শুনানি হবে ২২ ফেব্রুয়ারি, তখন বৈঠক পিছনো উচিত। এই বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করবে কংগ্রেসের আইনি উপদেষ্টারা।" আরও বলা হয়, "ইগো ধরে বসে থাকলে হবে না, বৈঠক পিছনো উচিত, যাতে সুপ্রিম কোর্ট দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে পারে।" উল্লেখ্য, কংগ্রেস আগে বহুবার অভিযোগ করেছে, সরকার নির্বাচন কমিশনকে হাতের মুঠোয় রাখতে চায়। এদিন ফের একই অভিযোগ তোলা হয় বিরোধী দলের তরফে।